কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ-এই ছয় মেট্রোপলিটান শহরেই এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। তাই এই ছয় শহরকেই রেড মার্কিংয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ১৭০টি জেলাকে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ২০৭টি জেলা হটস্পট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এই রেড মার্কিং তালিকায় নাম রয়েছে জয়পুর এবং আগ্রারও। মোট ১২৩টি জেলাকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে দিল্লির ৯টি জেলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এই ‘হটস্পট’ বা ‘রেড জোন’ বলতে সেইসব এলাকাকেই বোঝানো হচ্ছে যেখানে চারদিনেরও কম সময়ে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়েছে। অথবা দেশ বা রাজ্যের ৮০ শতংশ সংক্রমিত জেলা বা শহরকে ‘হটস্পট’ বা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে, হটস্পট থেকে যাতে বাইরে রোগ না ছড়ায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। হটস্পটের মধ্যে কাজ করবে স্পেশাল টিম। তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করবে। এবং তারা শুধু কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্তদের চিহ্নিত করবে না। যাঁরা ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (সারি)-তে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরও খুঁজে বার করবে।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে, হট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ২৮ দিন পর্যন্ত। যতদিন না সেখানে করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং নতুন করে সংক্রমণ বন্ধ হচ্ছে, ততদিন সেখানে বিধিনিষেধ মেনে চলতেই হবে। গ্রামাঞ্চলে হটস্পটের পরিধি হবে তিন কিলোমিটার। তার বাইরে সাত কিলোমিটার পরিধির একটি অঞ্চলকে বলা হবে বাফার জোন বা অরেঞ্জ জোন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনগুলিই চিহ্নিত করবে কোন এলাকাগুলি করোনার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে। যেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই জায়গাগুলিই এপিসেন্টার হিসাবে ধরে নেওয়া হবে। তবে শহরে এইভাবে এপিসেন্টার খুঁজে বার করা মুশকিল।
Be the first to comment