
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কেকেআর চেয়েছিল ঘূর্ণি পিচ। পছন্দমতো পিচ পেয়েই ফের বিধ্বংসী হয়ে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। নাইটদের আঁটসাট বোলিংয়ের সামনে কুঁকড়ে গেল ‘রানমেশিন’ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কার্যত হায়দরাবাদকে ধুলিস্যাৎ করে ৮০ রানের বিশাল জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা। বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ডি’কক-এর উইকেট হারায় নাইটরা। মাত্র ১ রান করে সাঝঘরের রাস্তা ধরেন তিনি। পরের ওভারেই আবার ধাক্কা নাইট শিবিরে। এবারে আউট সুনীল নারিন। তবে এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক রাহানে। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৮১ রান। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। আর এরপরে ভেঙ্কটেশ ও রিঙ্কুর যুগলবন্দীতে দল পৌছে যায় ২০০ রানে। রিঙ্কু করেন ১৭ বলে ৩২ রান। ভেঙ্কটেশ আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ২৩.৭৫ কোটির বেঙ্কটেশের ব্যাট থেকে এল ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা।
হায়দরাবাদের কোনও বোলারই খুব ভাল বল করতে পারেননি। তার মধ্যেও কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ শামি। ২৯ রানে ১ উইকেট বাংলার জোরে বোলারের। জিশান আনসারি ২৫ রানে ১ উইকেট নিলেন। ৪৪ রানে ১ উইকেট কামিন্সের। হর্ষল পটেল ১ উইকেট নিলেন ৪৩ রান খরচ করে। ৪ রানে ১ উইকেট কামিন্দু মেন্ডিসের। বিষ্ময়কর ভাবে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারকে এক ওভারের বেশি ব্যবহার করলেন না কামিন্স।
কিন্তু প্রতিপক্ষ তো ‘রানমেশিন’ হায়দরাবাদ। ২০০ রানের পুঁজি কি যথেষ্ট হবে নাইট বোলারদের জন্য? প্রশ্ন ছিল কেকেআর ভক্তকুলের মনে। কিন্তু বল হাতেও এদিন ম্যাজিক দেখালেন বরুণ চক্রবর্তীরা। দ্বিতীয় বলেই ‘দৈত্য’ ট্র্যাভিস হেডকে ফেরান ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বৈভব আরোরা। ভয়ংকর ফর্মে থাকা ইশান কিষানও তাঁর শিকার। উলটো দিক থেকে চাপ বাড়ালেন হর্ষিত রানাও। তিনি তুলে নিলেন অভিষেক শর্মাকে। দুই পেসারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই হায়দরাবাদ দুর্গে হানা দিল নাইটদের স্পিন আক্রমণ। হেনরিক ক্লাসেনের একার লড়াই কোনও কাজে আসেনি। তিনি করলেন ২১ বলে ৩৩। মারলেন দু’টি করে চার এবং ছয়। ২২ রানে তিন উইকেট বরুণের। ১ উইকেট পেলেন নারিনও। জোড়া উইকেট গেল আন্দ্রে রাসেলের ঝুলিতে। ৮০ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।
উল্লেখ্য, এই বড় ব্যবধানে জিতে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় বড় লাফ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে তারা ছিল লিগে সকলের নীচে। সেখান থেকে এক লাফে পাঁচ নম্বরে উঠে এল কলকাতা।
Be the first to comment