বড়দিন যত এগিয়ে আসছে, নামছে পারদ। প্রত্যেকদিন প্রায় এক ডিগ্রি করে হচ্ছে এই পারদ পতন। আর সেটা দেখেই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বার আগের সব রেকর্ড ভাঙার পথে এগোচ্ছে কলকাতার শীত।
শনিবার এই মরসুমে প্রথমবার তাপমাত্রা ১২তে নামল। এ দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। গত বছর ডিসেম্বরে ঠাণ্ডা থাকলেও পারদ পতনের হার এত দ্রুত ছিল না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর বছর শেষে কলকাতার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবথেকে ঠাণ্ডা বড়দিন এ বার পেতে চলেছে শহরবাসী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি। ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তা কমে হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের বারের থেকে একটু বেড়ে হয়েছিল ১৮ ডিগ্রি। ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি৷ গত বছর ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বেশ খানিকটা কম, ১৩ ডিগ্রি। এই মরসুমে ইতিমধ্যেই ১২ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা।
কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ঠাণ্ডার প্রকোপ রয়েছে৷ দার্জিলিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি৷ শ্রীনিকেতনের পারদ কমে দাঁড়িয়েছে ৯.১ ডিগ্রি৷ আরও দক্ষিণে পানাগড়ের তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি৷ কৃষ্ণনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি। মেদিনীপুরের তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ৮ ডিগ্রি, ব্যরাকপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৯ ডিগ্রি। বর্ধমানের তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে পারদ নেমেছে ১১.০ ডিগ্রিতে, ডায়মন্ডহারবারের তাপমাত্রা ১২.০ ডিগ্রি, দিঘার তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি।
আকাশ পরিষ্কার৷ নেই ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপের ভ্রুকুটি৷ ফলে উত্তুরে হাওয়ার রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে না৷ আর তার জেরেই জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়ছে বলে মত আবহবিদদের৷ ঠাণ্ডার পাশাপাশি ভোরবেলা অন্যতম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কুয়াশা। বেশ কিছু জেলায় দৃশ্যমান্যতা এক কিলোমিটারের নীচে নেমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আগামী দিনে কুয়াশা আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
Be the first to comment