নিম্নচাপ সরে মেঘ কেটে যাওয়ার পরেই শীত জানান দিচ্ছে তার প্রভাব। ইতিমধ্যেই শহরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে জেলার তাপমাত্রা।বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার তাপমাত্রা ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আবার স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম৷ বৃহস্পতিবার কলকাতায় যেমন পারদ নেমেছে, তেমনই অন্যান্য জেলাতে বুধবার থেকেই পারদ নেমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বর্ধমানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিঘার তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হলদিয়ায় ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মেদিনীপুরে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের প্রভাব আরও বেশি। বেশিরভাগ জেলাতেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে। শীত উপভোগ করতে দার্জিলিং গিয়েছেন অনেক পর্যটক। বৃহস্পতিবার সকালে ঝকঝকে সূর্যোদয় দেখা গেছে টাইগার হিলে। নীচে ছিল ঘন মেঘের আস্তরণ। এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেক পর্যটক।
সাধারণত ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পেরনোর পরেই শীত পড়ে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফেতাইয়ের কারণে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টিও হচ্ছিল দিনভর। স্বাভাবিক কারণেই তাপমাত্রা বাড়ছিল। তাই ফের শীত কবে পড়বে, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল শহরবাসীর। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে মেঘ কেটে গেলেই ফের বাড়বে ঠাণ্ডা। উত্তুরে হাওয়া ফের রাজ্যে প্রবেশে কোনও বাধা পাবে না৷ সেই মতোই অনুভূত হয়েছে শীতের পরশ৷
Be the first to comment