লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ থেকে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু, পরে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানায় বিজেপি। কিন্তু, বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেন স্পিকার। এমনকি, PAC-র চেয়ারপার্সনও হন কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গেলেও এতদিন খাতায়-কলমে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন তিনি। এতদিন পর অবশেষে বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ কল্যাণী বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যানও ছিলেন। ফলে সেই পদও আপাতত শূন্য হল।
তৃণমূলের দিকে ঘেঁষার পর থেকেই বিজেপি শিবির থেকে বার বার কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিশানা করা হয়েছে। কেন কৃষ্ণ কল্যাণী বিধায়ক পদ আগলে রেখে দিয়েছেন, কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে না, তা নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে জোরদার সওয়াল করেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু এতদিন বিধায়ক হিসেবেই থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এখন আচমকা কেন বিধায়ক পদে ইস্তফা? কৃষ্ণ কল্যাণীর অবশ্য ব্যাখ্যা, নৈতিকতার কারণেই তিনি পদত্যাগ করলেন। বললেন, ‘আমি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে ভোটে লড়তে চাই, তাই ইস্তফা দিলাম। নিয়মের কথা বলতে গেলে তো, কেস চলছে। কেস চলত। এটা আমি নৈতিক দায়িত্ব মনে করেছি, সেই জন্য ইস্তফা দিয়েছি।
বুধবার ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কৃষ্ণ কল্যাণীর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন এবং রায়গঞ্জ বিধানসভা আসন খালি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। স্পিকার বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। জানতে চাওয়ায় তিনি বলেছেন, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেননি। কেউ তাঁকে ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করেননি ইস্তফা দেওয়ার জন্য। আমি এই ইস্তফা গ্রহণ করলাম। আমি সন্তুষ্ট যে তিনি স্বেচ্ছায় এই ইস্তফা দিলেন।’
[27/03, 9:00 pm] Arpan:
Be the first to comment