রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম বৈঠকেই বুধবার গরহাজির থাকলেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর অনুপস্থিতিতে এদিন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। কয়েকদিন আগেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পিএসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা মুকুল রায়। এরপর অপর দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণীকে পিএসির সদস্য করেন। তাঁকেই পিএসির চেয়ারম্যানও করা হয়।
এর প্রতিবাদে বিজেপি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিজেপি আদালতে গিয়েছিল, একই কারণে কৃষ্ণের বিরুদ্ধেও তারা আদালতে যাচ্ছে। কৃষ্ণ বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জিতে বিধায়ক হন। পরে তিনি মুকুলের মতোই দল বদল করে তৃণমূলে যান। তবে খাতায়কলমে তিনি এখনও বিজেপি বিধায়ক। সেই যুক্তিতেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রথমে পিএসির সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান করেন। বিজেপির দাবি, তারা মুকুল এবং কৃষ্ণের নাম পিএসির সদস্য তালিকায় রাখেনি।
বিরোধী দলের আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গে স্পিকার বুধবার বলেন, ওরা সমস্ত বিষয় ঠেলতে ঠেলতে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে। পিএসি নিয়ে ওদের কোনও সুপারিশ মানা বাধ্যতামূলক নয়। এটা পুরোপুরি স্পিকারের নিজস্ব এক্তিয়ার। কাকে পিএসির চেয়ারম্যান করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই স্পিকারের। তিনি বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির বিধায়ক। বিধানসভার কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে, তিনি অন্য দলে গিয়েছেন। তাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে নিয়ম মেনে। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি স্পিকারের আসনকে শ্রদ্দা করি। কিন্তু তিনি একা কোনও সিদ্ধান্ত নেন না। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন, তিনি তাই করেন।
Be the first to comment