কুম্ভমেলা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘সুপার স্প্রেডার’ হতে পারে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এমনই আলোচনা হয়েছে ৷ সোমবার হওয়া ওই বৈঠকে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷
ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে বৈঠকের সময় এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি সরকারের তরফে নির্ধারিত সময়ের আগে কুম্ভমেলা শেষ করে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তা ‘সুপার স্প্রেডার’-এ পরিণত হতে পারে ৷
সংবাদসংস্থাকে ওই সূত্র জানিয়েছে যে এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে একটি দল গঠন করা হতে চলেছে ৷ ওই দলের কাজ হবে সব সাধু ও ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য নিয়ে কুম্ভে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিধি মেনে চলার আবেদন করা ৷
একই সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে যাতে মানুষ সচেতন হয়, সেই কারণে প্রচার চালানোর পরিকল্পনাও করেছে সরকার ৷ এর জন্য টিভি ও রেডিও-র মতো প্রচারমাধ্যমকে ব্যবহার করা হবে ৷ একই সঙ্গে জনবহুল জায়গায় পোস্টার দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হবে সরকারের তরফে ৷
ওই সূত্রের দাবি, এখনই সরকারি তরফে কুম্ভমেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই ৷ তবে মেলা চলাকালীন সংক্রমণ কীভাবে কমানোর ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আধিকারিকদের পরামর্শ চেয়েছে সরকার ৷
যদিও উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে কুম্ভমেলায় করোনার সংক্রমণ রুখতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে ৷ কুম্ভে আসার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷
কিন্তু এত কিছুর পরও কি পরিস্থিতি সামলানো যাবে ? এই প্রশ্ন উঠছে ৷ তার কারণ, কুম্ভ মেলায় স্নান করার সময় বা পুজোর সময় অধিকাংশকেই মাস্ক ছাড়া দেখা যাচ্ছে ৷ করোনা সংক্রান্ত শারীরিক দূরত্ববিধি তো মানাই হচ্ছে না ৷
Be the first to comment