জেলে একবার ঢুকে দেখুন কেমন লাগে, পার্থকে আক্রমণ কুণালের

Spread the love

কোনও বিশেষ সুবিধা নয়। একজন সাধারণ বন্দির মতোই যেন জেলে ব্যবহার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দাবি তুললেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা যেন ব্যক্তি কুণালের বক্তব্য হিসেবে ধরা হয়। তবে শুধু কুণালই নন বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। তিনি জানান প্রতিদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তদন্তে যা উঠে আসছে তা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে।

শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেই পার্থকে আক্রমণ করেন কুণাল। বলেন, জেলে ঢুকে দেখুন কেমন লাগে। আমি যখন গ্রেফতার হয়েছিলাম, জেলের মধ্যে জ্বলে-পুড়ে মরেছি। তখন আমাকে পাগল বলেছিলেন পার্থদা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রে যারা যারা লিপ্ত ছিল তাঁদের জেলে না ঢোকা পর্যন্ত আমার মরণ নেই।

এখানেই শেষ হয়নি কুণালের আক্রমণ। যদি পার্থকে জেলে কোনও রকম সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিবাদ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন কুণাল। তাঁর হুঙ্কার কোনও বিশেষ হাসপাতাল নয়। জেল হাসপাতালেই শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে পার্থর। যে ভাবে একজন সাধারণ বন্দির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তার অতিরিক্ত যেন পার্থ না পান। এই দাবি তুলে কুণালের হুঁশিয়ারি, যদি অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দেওয়া হয় জেলের ভেতর তাহলে জানতে পারব। তখন আমি আমার মতো প্রতিবাদ করব।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কুণাল ঘোষ গ্রেফতারের সময় তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন কুণাল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*