রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এবার শকুনের তুলনা টানলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল জানালেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অত্যন্ত ছোট মনের। ওনার দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা শকুনের মতো।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আমলারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে দিচ্ছেন সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন উঠতেই সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অত্যন্ত ছোট মনের। ওনার দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা শকুনের মতো।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আসানসোল ওর মুখ দেখিয়ে ৩ লাখ ভোটে হেরেছে বিজেপি। বালিগঞ্জে জামানত জব্দ। চুড়ান্ত ব্যর্থ শুভেন্দু আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন, কেউ তাঁকে মানে না। যেখানে মুখ দেখাচ্ছে সেখানে হারছে। তাই ঠান্ডা ঘরে বসে ভুলভাল বকছেন। টিএমসি বড়দের ব্যাপার।” এছাড়াও রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি সরকারের তরফে আমলাদের উত্যক্ত করার অভিযোগ তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, “এই বিজেপি সরকার রাজনীতিতে লড়তে না পেরে এজেন্সি দিয়ে আমলাদের সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করে। এটা নতুন নয়। বিজেপির এই দেউলিয়া রাজনীতি একাধিকবার ঘটেছে। রাজ্যপালকেও একি কাজে ব্যবহার করে এই বিজেপি।”
এর পাশাপাশি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে ‘বোকা বানানো’ সম্মেলন বলে তোপ দেগেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তার কটাক্ষেরও এদিন জবাব দেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, সিপিএম জমানায় জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা যতবার বিদেশ গিয়েছেন তার হিসেবটা আগে দিন। আসলে উনি দেখাতে চাইছেন সুজনের চেয়ে উনি বেশি কথা বলতে পারেন। “কাহিপে নিগাহে কাহিপে নিশানা”। রাজ্য সরকার এই সম্মেলন করে দেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রচুর শিল্পপতি বিনিয়োগ করছে এই রাজ্যে। এত জ্বালা কেন সেলিমের?
Be the first to comment