নন্দীগ্রাম দিবসের দিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রাম থেকে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানরা।
এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নন্দীগ্রামের ঘটনায় শহিদদের স্মরণে একটি সভার আয়োজন করে। এই কর্মসূচিতেই যোগদান করেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, বিধায়ক তাপস রায়, রজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ান, জয়া দত্ত সহ অন্যান্যরা।
এদিনের সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রামের এই সভা থেকে ‘শুভেন্দু হঠাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তোলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তোমরা সমস্তটা ভোগ করেছ। এরপর তুমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মেরেছ। তুমি বেইমান, গদ্দার। ‘ তাঁর কথায়, ‘এখন শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু হিন্দু করেন। কিন্তু, নন্দীগ্রাম আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম যৌথভাবে করেছিল। নন্দীগ্রামে মুসলিমদের অসম্মান করছেন শুভেন্দু। সেক্ষেত্রে কেন তিনি শহিদদের বেদীতে মালা দিতে চাইছেন!’
এদিন তাপস রায় শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগে বলেন, ‘রাজ্যে উপনির্বাচনে ৮০ কোম্পানি-৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে। নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা কেন আটকাতে চাইছে। আবার গণনা হলে তবে তো বোঝা যাবে নির্বাচনের সময় কী হয়েছে না হয়েছে। ‘ এদিকে নন্দীগ্রাম দিবসের দিন শুভেন্দু অধিকারী একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নন্দীগ্রাম, শুধুমাত্র একটি নাম বা জায়গার নাম নয়। নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস যা কোনদিনই ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নন্দীগ্রাম হল আন্দোলনের মাটি, রক্ষার মাটি, আশ্রয়ের মাটি, বিশ্বাসের মাটি। নন্দীগ্রাম আগেও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে। রক্তস্নাত সূর্যোদয়ের আজ ১৪তম বর্ষপূর্তি। নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের সকল অমর শহিদদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগেছিলেন কুণাল ঘোষ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘BJP-র যে দুজন নেতা সাতসকালে CBI পাঠিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন, এখন প্রচারের জন্য ন্যাকামি করে শোকজ্ঞাপন করতে সামনে গেলে নিজদায়িত্বে যাবেন। খবরটা অন্যরকমও হয়ে যেতে পারে। যদিও তৃণমূলকর্মীরা যথেষ্ট সংযত থাকবেন।’ এদিকে নন্দীগ্রাম দিবসের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নন্দীগ্রামের শহিদদের আমরা ভুলছি না, ভুলব না। নন্দীগ্রাম সহ সারা পৃথিবীর সকল শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
Be the first to comment