নন্দীগ্রামের মঞ্চে ভুয়ো নারায়ণকে তুললেন কেন পূর্ণেন্দু বসু; কুনাল ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

Spread the love

গতকাল নন্দীগ্রামে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। পাশেই পৃথক সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতেই এই নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার উপর কয়েক ঘন্টা আগে সাংবাদিক বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেখানে মন্ত্রী, তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসুকে আক্রমণ করেন তিনি।

পোস্টে শুরুতেই অবশ্য তিনি লেখেন, “এই পোস্ট আমি তৃণমূল মুখপাত্র হিসেবে করছি না। একজন সাংবাদিক এবং প্রেসিডেন্সি জেলের একজন তৎকালীন বন্দি হিসেবে করছি”। তারপর তিনি লেখেন- “পূর্ণেন্দু বাবু যে নন্দীগ্রামকে কত পুরনো দিন থেকে চেনেন, সেটা বোঝাতে একসময়ের সক্রিয় সংগঠক মধুসূদন ওরফে মধুর নাম তোলেন। মধুবাবু মাওবাদী অভিযোগে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্ত। মঞ্চে বক্তৃতা চলাকালীন পূর্ণেন্দু অবলীলায় বলে দেন,” আমি নারাণকে নিয়ে এসেছি। কই ও কোথায়?” এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নমস্কার করেন। ঘটনা হল, এই ব্যক্তি নারায়ণ ওরফে মধু নন। সম্পূর্ণ অন্য লোককে সামনে রেখে ইতিহাস পড়ানো হল।”

তিনি আরোও লেখেন-” প্রশ্ন হল এটা ভুল নাকি কেলেঙ্কারি? ” আমি নিয়ে এসেছি” বলার মধ্যে যে পরিচয়পর্ব থাকে, সেটা তো মিলছে না। কুণাল বাবু জানান, আসল মধুবাবু সেই সময় হলদিয়ার দুর্গাচকে নিজের এলাকায় গান শুনিয়ে নিজের মত করে দিনটি পালন করছিলেন। ভুয়ো মধুদাকে দেখিয়ে মঞ্চে ভুলভাল রাজনীতি হল। কোনো দরকার ছিল না। বন্দি মধুদা যখন লড়ছেন, পরিবার বিধ্বস্ত, তখন এই বক্তাদের দেখা যায়নি। তখন বন্দিমুক্তি কমিটি বা বন্দিদশায় পরিচিতরাই মধুদার সঙ্গে থেকেছেন।

তিনি বলেন, “যাই হোক, প্রশ্ন হল, এটা অজান্তে ভুল না ইচ্ছাকৃত? পূর্ণেন্দুবাবু ” আমি ওকে এনেছি” বললেন কী করে? যাকে দেখানো হল, সে কে? যদি তার নামও নারায়ণ হয়, সে তো ঐ আসল নারায়ণ নয়। তাহলে তাকে দাঁড় করিয়ে এই সস্তা নাটক করা হল কেন?”

এছাড়াও মধুবাবুর সাথে কুণাল ঘোষের একটা ভালো সম্পর্ক আছেন একথাও জানান তিনি।

https://www.facebook.com/kunalghoshagain/posts/998784483974569

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*