নারদ মামলায় সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। এছাড়াও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পুলিশ কর্তা এস এম এইচ মির্জা।
এদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি তুলেছে রাজ্য শাসক দল। রাজ্য শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সারদায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে তদন্তের থেকে বাঁচাতে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে বসে রয়েছে। সারদা মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। শুভেন্দু ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে। শুভেন্দুকে আশ্রয় দিয়েছে বিজেপি। অবিলম্বে সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’
পাশাপাশি নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি, এমনটাই দাবি করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় আসন টলমল বিজেপির। তাই চক্রান্ত করতে চাইছে তারা। আগামী দু’মাসের পরিস্থিতি কী হবে, তা শুভেন্দু-দিলীপ জানছেন কী করে? এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
কুণাল বলেন, ‘তৃণমূল মাথা উঁচু করে লড়াই করবে। শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি দফতরে বসে নিজেদের রক্ষা করবে না। শুভেন্দু অপদার্থ বিরোধী দলনেতা।’ ২০১৪ সালেও এই বিজেপি বিধায়ক অমিত শাহের ঘরে বসেছিলেন বলে দাবি করেছেন কুণাল। তিনি শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও অভিহিত করেন। আইনি প্রক্রিয়ায় এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ার কথা বলেছেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিজেপির কমপক্ষে ১২ জন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে সহ্য করতে পারছেন না। ‘
একই সঙ্গে শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বলবেন শিশির অধিকারী কোন দলে রয়েছেন! শুভেন্দু যদি ১০৮ বার নাকখতও দেন, তবুও তাকে নেবে না তৃণমূল।’
Be the first to comment