গুজরাটে ১৪ মাসের এক শিশুর ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক বিহারি মজুরকে। তারপর থেকেই গুজরাটের বিভিন্ন এলাকায় বাইরে থেকে আসা মজুরদের মারধরের ঘটনা ঘটছে। আতঙ্কে গুজরাট ছাড়লেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে আসা কয়েকশ মজুর।
সূত্রের খবর, ২৮ সেপ্টেম্বর গুজরাটের সবরকান্থা জেলায় ১৪ মাসের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিহার থেকে আসা এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই গত কয়েকদিনে গুজরাটের ছয় জেলায় অনেক মজুরকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে হিংসা ছড়িয়েছে ওই জেলাগুলিতে।
গুজরাট পুলিশ সূত্রে খবর, গান্ধীনগর, আমেদাবাদ, পাটান, সবরকান্থা, মেহসানা প্রভৃতি এলাকায় এই ধরণের হিংসার ঘটনা বেশি ঘটেছে। পুলিশ প্রধান শিবানন্দ ঝা জানিয়েছেন, সবরকান্থায় ঐ শিশুর ধর্ষণের ঘটনায় যেহেতু বিহার থেকে আসা এক মজুর গ্রেফতার হয়েছে, তাই কিছু লোক বাইরের রাজ্য থেকে আসা মজুর, শ্রমীকদের নিশানা বানিয়ে মারধর করছে। তাঁর বক্তব্য, এর মধ্যে মেহসানা ও সবরকান্থার পরিস্থিতি সবথেকে উত্তপ্ত।
এইসব জায়গায় প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। আমেদাবাদ শহরেও মারধরের প্রায় ৪২ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে আমেদাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এই হিংসা ও মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেস নেতা ও ঠাকর সেনার প্রধান অল্পেশ ঠাকরের। ঠাকর সেনার লোকেরায় বেশিরভাগ জায়গায় হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে অল্পেশ ঠাকর জানিয়েছেন, ” এই ঘটনা খুব দুঃখজনক। কোনও ধরণের হিংসার সঙ্গে আমার লোকেরা যুক্ত নয়। গুজরাটে গোটা দেশের লোকেরা সুরক্ষিত।”
Be the first to comment