লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈনিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম চার ভারতীয় জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশেষ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এর আগেই, ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন জওয়ান। ৪৩ জন চিনা সৈনিকও মৃত বা আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।
এদিকে, উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলায় শ্রীনগর-লেহ হাইওয়ে জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গাড়ি ছাড়া সব যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনাবাহিনীর তিন ক্ষেত্রের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। উদভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে হিমাচল প্রদেশে ভারত-চিন সীমান্তে। সীমান্তবর্তী সব এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ পুলিশ সক্রিয় করে দিয়েছে প্রতিটি সিক্রেট এজেন্সিকেও। সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে লাহুল, স্পিতি এবং কিন্নর জেলার সব স্থানীয় মানুষকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। স্পর্শকাতর প্রতিটি অঞ্চলে হিমাচল পুলিশ এবং ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশকে মোতায়েন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে দু-পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। বেজিং সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও চিনা সেনার মৃত্যুর খবর জানায়নি। তবে, বেজিং প্রশাসনের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রধান সম্পাদক টুইট জানিয়েছেন, গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে চিনের সেনাও নিহত হয়েছেন। এএনআই বিশেষ সূত্রের উল্লেখ করে জানাচ্ছে, চিনের রেডিয়ো ইন্টারসেপ্ট করে ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে অন্তত ৪৩ জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছেন।
১৫ জুন রাতে ঘটনার সূত্রপাত। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু-পক্ষের সেনারা। ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যা থেকে ঘটনা বড় আকার নেয়। বিষয়টি নিয়ে লাদাখ সীমান্তে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন দু- দেশের সেনাকর্তারা। এই ঘটনার জন্য চিনকেই দোষারোপ করেছে ভারত। ভারতের তরফে বলা হয়, চিনা সেনা যদি চুক্তি মেনে চলত, তা হলে এই হিংসাত্মক সংঘাত এড়ানো যেত।
Be the first to comment