লাদাখের গানওয়ালে ব্যাপক উত্তেজনা। ক্রমশ তৈরি হচ্ছে ভারত এবং চিনের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা। যেভাবে টেনশন বাড়ছে তাতে অনেকেই অশনি সঙ্কেত দেখতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে লাগাতার উস্কানি চিনা বাহিনীর।
জানা যাচ্ছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে ক্রমশ সেনা বাড়িয়ে যাচ্ছে পিপলস আর্মি। শুধু তাই নয়, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, গালওয়ানে নদীর জল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তা করতে চিনা বাহিনী বুল্ডোজার এনেছে বলেও স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পালটা রণকৌশল ভারতের। লে-লাদাখের আকাশে উড়ছে একের পর এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং অ্যাটার্ক হেলিকপ্টার।
সংবাদসংস্থা এনএনআই এই ছবি সামনে এসেছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, আকাশে উড়ছে একের পর এক যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, আকাশে উড়ছে মিলিটারি চপারও। যা দেখে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ কপালে সীমান্তের ওপারে থাকা চিনা বাহিনীর।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিনকে পালটা চাপে রাখতে কৌশল শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাও। শুধু তাই নয়, হঠাত করে যদি কোনও সীমান্তের ওপার থেকে চিনের যুদ্ধবিমান ছুটে আসে তা যাতে মুহূর্তে রুখে দেওয়া যায় সেজন্যেও এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৪৫ বছর বাদে প্রথম ভারত-চিন সীমান্তে শহিদ হলেন ভারতের সেনা জওয়ান। এক আর্মি অফিসার সহ শহিদ হয়েছেন মোট ২০ জন। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের আগুন বাড়ছে দেশ জুড়ে। প্রায় প্রত্যেকদিন সীমান্তে আর্মি অফিসার স্তরের বৈঠক হওয়া সত্বেও পিছু হটছে না চিন।
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই লে ও শ্রীনগরে এয়ারবেস পরিদর্শন করে এলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া। এয়ারবেস গুলিতে প্রস্তুতি কেমন, তা দেখার জন্যও তিনি গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে যাতে দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া যায়, সেই প্রস্তুতিই দেখে এলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ভারত একাধিক ফাইটার জেট সাজাতে শুরু করেছে ওইসব এয়ারবেসে। মনে করা হচ্ছে সীমান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এই এয়ারবেসগুলিই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। শুধু তাই নয়, জানা যাচ্ছে, যে কোনও পরিস্থিতির জন্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান আর্মি, নৌবাহিনীকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এখনই হয়তো বড়সড় কোনও সিদ্ধান্তে যাবে না ভারত। আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি শান্ত করতে চায় ভারত।
Be the first to comment