গত বৃহস্পতিবার লালবাজারে, রাজ্যের তিন প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপি-র তিন প্রতিনিধির কী আলোচনা হয়েছিল তার সিডি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিন বিজেপি-র দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ সিডি ওই সিডি চেয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বুধবার বেলা ১২টার সময় ওই সিডি জমা দিতে হবে।
আদালতের নির্দেশেই বৈঠকে বসেছিল রাজ্য। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ প্রথমে রথযাত্রায় ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিলেও পরে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই স্থিগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। রথের রুট নিয়ে সরকারকে বিজেপি-র সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয়। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে লালবাজারের লনে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “অনুমতি দেবে সরকার। রুট ঠিক করব আমরা। তারিখ পরিবর্তন হলেও নির্ধারিত কর্মসূচির এক ইঞ্চি এ দিক-ও দিক হবে না।” কিন্তু শনিবার নবান্নের তরফে জানিয়ে বিজেপি রাজ্য দফতরে ফ্যাক্স করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘সরি! আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সমস্ত জেলার প্রশাসন জানিয়েছে। তাই আমরা আপনাদের রথযাত্রায় অনুমতি দিতে পারছি না।”
তারপর ফের কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চে পিটিশন দাখিল করে বিজেপি। এ দিন সেই মাওলার শুনানিতে বিজেপি-র আইনিজীবী এসকে কাপুর বলেন, “এটা রথযাত্রা নয়। বৈঠকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এটা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা। রাজ্য সরকার কি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করতে পারে? বড় জোর শর্ত আরোপ করতে পারে। যদি পুলিশের ক্ষমতা না থাকে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার, তা হলে সেনা নামাক সরকার।” এরপরই ওই বৈঠকের সিডি তলব করে আদালত।
রথযাত্রা হলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। তাই রথযাত্রা বন্ধ করুক আদালত। এই আবেদন নিয়ে পৃথক একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ দিন শুনানির কথা থাকলেও ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানি এ দিন হয়নি। আদালত জানিয়েছে, বুধবার ওই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তৃণমূল চেষ্টা করছে যে ভাবে হোক কোর্ট-কাছারি করে বিজেপি-র কর্মসূচি আটকাতে। কিন্তু পারবে না। আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি করবই।”
Be the first to comment