আর রাঁচিতে রাখার ঝুঁকি নিলেন না রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের ডাক্তাররা৷ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শনিবার রাতেই দিল্লির এইমসে উড়িয়ে আনা হল ৷
ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে লালু ভর্তি হয়েছেন এইমসের কার্ডিওথোরাসিস সেন্টারের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)৷ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতার নিউমোনিয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা৷ লালুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ রক্ত পরীক্ষা ও স্ক্যান রিপোর্ট সাধারণ সংক্রমণই ধরা পড়েছে ৷
শুক্রবারই লালুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে পৌঁছন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, দুই ছেলে তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী এবং মেয়ে মিসা ভারতী৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লালুর ইতিমধ্যেই হার্ট সার্জারি হয়েছে। তাঁর কিডনির মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ করে। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনি। ফলে প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাঁর। লালুর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও স্থিতিশীল নয়। বেড়েছে তাঁর কিডনির সমস্যাও। এছাড়া ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও রয়েছে লালুর।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একাধিক মামলায় ২০১৮ সালে জেল হয় লালুর৷ আরজেডি সুপ্রিমোক সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল রাঁচির সিবিআই-এর বিশেষ আদালত৷ তার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে কেটেছে লালুর৷ শনিবার সংশোধনাগারের চিকিৎসকদের সম্মতির পাশাপাশি লোয়ার কোর্টের অনুমতি নিয়েই লালুকে দিল্লি উডিয়ে আনা হয় চিকিৎসার জন্য।
Be the first to comment