পশুখাদ্য মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ৷ ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করবে আদালত। ডোরান্ডা ট্রেজারির ১৩৯ কোটিরও বেশি টাকা তছরূপের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন আরজেডি প্রধান ৷
এবছর ২৯ জানুয়ারি আদালতে এই মামলার সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ হয় ৷ কিন্তু রায় ঘোষণা করেনি কোর্ট ৷ এর আগে অন্য 4টি পশুখাদ্য মামলায় ১৪ বছরের জেল খেটেছেন লালুপ্রসাদ ৷ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ২০২১-এর এপ্রিলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে ৷
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, লালুপ্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৷ এরপর সাজা ঘোষণা হবে ৷ ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই মামলার শুনানি চলছে ৷ সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল কোর্টে বিচারপতি এস কে শশী লালুপ্রসাদ-সহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে শুনানি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন ৷ এই মামলার শেষ অভিযুক্ত ডাঃ শৈলেন্দ্র কুমারকে নিয়ে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ হয় ২৯ জানুয়ারি ৷ সাজা ঘোষণার দিন সব অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
এই মামলায় ১৭০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৫৫ জন মারা গিয়েছেন ৷ ৭ জন সরকারি পক্ষে সাক্ষী হয়েছেন ৷ ২ জন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং ৬ জন পালিয়ে গিয়েছেন ৷
পশুপালন দফতর তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ১৯৯৬-এর জানুয়ারিতে এই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সামনে আসে ৷ ১৯৯৭-এর জুনে লালুপ্রসাদকে অভিযুক্ত ঘোষণা করে সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লালুপ্রসাদ এবং বিহারের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ৷
২০১৩-এর সেপ্টেম্বরে ট্রায়াল কোর্ট একটি পশুখাদ্য মামলায় দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ৪৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ লালুপ্রসাদের ঠাঁই হয় রাঁচির জেলে ৷ ২০১৩-এর ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট লালুপ্রসাদকে জামিনে মুক্তি দেয় ৷ কিন্তু ২০১৭-এর ডিসেম্বরে তাঁকে এবং অন্য ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিরসা মুন্ডা জেলে পাঠায় সিবিআই ৷ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ২০২১-এর এপ্রিলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে ৷
Be the first to comment