জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জালে লস্কর-এ-তইবার মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী জাহুর আহমেদ রাথার। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলা থেকে জাহুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, গত বছর কুলগামের ভেসুতে তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করার পিছনে তারই হাত ছিল। এই খুনের পিছনে ছিল জাহুর আহমেদ রাথারের মাস্টারমাইন্ড। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কুলগামের ফাররাতে এক পুলিশকর্মীকেও খুন করেছিল জাহুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাহুর আহমেদ রাথার লস্করের সঙ্গে যুক্ত এবং প্রথম সারির জঙ্গিদের একজন। তাকে শনিবার কাশ্মীরে নিয়ে আসা হয়েছে পরবর্তী জেরার জন্য। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, ‘অনন্তনাগে কর্মরত পুলিশের একটি দল ওই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে। টিআরএফ-এর জাহুর আহমেদ রাথার ওরফে সাহিল ওরফে খালিদকে শুক্রবার মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ লস্কর-এ-তইবার একটি শাখা সংগঠন এই টিআরএফ অর্থাৎ দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট।
কাশ্মীরের এক উচ্চপদস্থ অফিসারের কথায়, ‘গত বছর কুলগামে বিজেপির তিন কর্মীকে খুনের পিছনে ছিল এই জাহুর। দক্ষিণ কাশ্মীরের ফাররাতে এক পুলিশকর্মীর খুনেও জড়িত ধৃত। কাশ্মীরে নিয়ে এসে তাকে জেরা করা হবে।’ গত বছরের ২৯ অক্টোবর কুলগামের ওয়াই কে পোরা এলাকায় তিন বিজেপি কর্মী খুন হন। তাঁদের নাম ফিদা হুসেন ইয়াতু, উমর রশিদ বেইজ এবং উমর রমজান হাজম। সন্ধে সাড়ে আটটা নাগাদ এই তিন বিজেপি কর্মীর গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। একটি অলটো গাড়িতে করে সন্ত্রাসবাদীরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনার পর সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুলিশের দাবি, জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় রাজনৈতিক দলগুলির উপর হামলার দায়িত্ব পালন করছে লস্করের এই শাখা সংগঠন টিআরএফ। উপত্যকায় গত বছর ১১ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় টিআরএফের হাত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment