আপাতত রাজনীতি থেকে সরছিঃ লক্ষ্মীরতন শুক্লা

Spread the love

মন্ত্রিসভা ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার অবশেষে মুখ খুললেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বৃহস্পতিবার মুখে খুলেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও উড়িয়ে দিলেন তিনি। বললেন, আপাতত রাজনীতি থেকে সরে গেলাম। ২০১৬ থেকে যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। মানুষের জন্য কাজ করব। একটা সুযোগ পেয়েছিলাম, চেষ্টা করেছি সততার সঙ্গে তা করার। বাংলার প্রত্যেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আজও আমাকে লোকে বলে খেলোয়ার। আমার এটাই পরিচয়।

বিজেপিতে কি যোগ দেবেন আপনি? এদিন সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে কিছুটা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, এখন আপাতত খেলার দিকে নজর থাকবে আমার। আমার জীবনে অ্যাজেন্ডা নেই, সোজা পথে হাঁটি। বিধায়ক আছি। এই টার্মটা সম্পূর্ণ করব। আমার থেকে বিশেষ কিছু পাবেন না রাজনৈতিক। আমার কোনও ক্ষোভ নেই। বিরোধী, নিজের বলে এখানে কিছু নেই। সকলের প্রতিই শ্রদ্ধা। বাংলায় হিংসা-প্রতিহিংসা চাই না। প্লিজ হিংসা থেকে সবাই দূরে থাকুন। কিছু কারণ আছে, যা নিজের মধ্যে থাকা উচিৎ। সেইটুকুই আমার থাক।

মন্ত্রিসভার পাশাপাশি হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সদর) লেটারহেডে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার, ৪ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সামগ্রিক ভাবে রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকর পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন, সেটি গ্রহণ করা জন্য। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও টুইট করে জানিয়ে দেন, মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে লক্ষ্মীর যে চিঠি রাজ্যপাল টুইটার হ্যান্ডেলে দিয়েছেন, সেটি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সদর) সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগপত্র। সেই চিঠিতে অবশ্য লক্ষ্মী জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। লক্ষ্মী পদত্যাগ করার পর দপ্তরের দায়িত্ব পুরোপুরি ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসই সামলাবেন বলে সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সদর) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভাস্কর ভট্টাচার্যকে।

এদিন লক্ষ্মী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক থাকবে। উনি ওনার মতো করে যথেষ্ট কাজ করেন। ভালো কাজ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিশ্রমের জন্য মানুষ জিতিয়েছে। আমার শুভকামনা থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*