দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এই লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, যা বিড়লা মন্দির নামে বেশি পরিচিত। মূল মন্দিরটি নতুন দিল্লীতে। সেন্ট্রাল দিল্লীর কনট প্লেসে এই মন্দিরের স্থাপত্য মানুষকে মুগ্ধ করে।
ত্রিভুবনের ত্রাতা বিষ্ণু বা নারায়ণ এখানে ত্রিমূর্তিতে বিরাজিত। পাশে যুগল মূর্তিতে বিরাজমান লক্ষ্মী। ১৯৩৯ সালে মহাত্মা গান্ধী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বলা হয় এটি দিল্লীর প্রথম হিন্দু মন্দির। ১৯৩৩ সালে এই মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। বলদেব দাস বিড়লা পরে তাঁর পুত্ররা বিশেষ করে ঘনশ্যাম দাস বিড়লা এই মন্দির তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা নেন। এখানে দেবাদি-দেব মহাদেব, ভগবান বুদ্ধ ও শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরও আছে।
এখানে, যদিও হিন্দু মন্দির কিন্তু সব ধর্মের জন্যই এই মন্দিরের দরজা খোলা। ১৯৩৯ সালে গান্ধীজি এই মন্দির যখন উদ্বোধন করেন তখন তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে, এখানে প্রবেশের কোন ধর্মের বাছবিচার করা চলবে না।
এখানে জন্মাষ্টমী, দেওয়ালি নিষ্ঠা সহকারে পালন করা হয়। প্রায় ৮(৭.৫) একর জায়গা জুড়ে এই মন্দির, তাতে ঈশ্বরের নানা লীলা যেমন রয়েছে তেমনি সুন্দর সাজানো বাগান, ঝর্ণা মানুষকে রীতিমত মুগ্ধ করে। দিল্লীর পর্যটন মানচিত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। নাগারা স্টাইলের এই স্থাপত্য শৈলী তৈরী করেছিলেন শ্রীশচন্দ্র চ্যাটার্জী। ফ্রেসকো পেন্টিং কারুকার্য গুলো তৈরী, জয়পুরি মার্বেলে তৈরী এই পুরো মন্দির মানুষের মনকে শান্তির দিকে নিয়ে যায়।
এটি নতুন দিল্লীর কালিবাড়ির পাশেই অবস্থিত। দিল্লী গেলে এই মন্দিরটি দেখতে পর্যটকরা বা তীর্থযাত্রীরা ভুলবেন না। মন্দির মার্গেই অবস্থিত এই মন্দির। লোকাল বাস, ট্যাক্সি, অটো-রিক্সা করে দিল্লী কেন্দ্রস্থলে এই মন্দির মার্গে যাওয়া যায়। মেট্রো করে আর কে আশ্রম মার্গে নেমেও এখানে যাওয়া যায়। এটি মূল বিড়লা মন্দির হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির তার স্থাপত্য ও ভাস্কর্য্য নিয়ে মানুষের মন জয় করে আছে। যেমন বালিগঞ্জের বিড়লা মন্দির, এটিও কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
বালিগঞ্জের বিড়লা মন্দিরের ঠিকানা –
৫/১A, পদ্মপুকুর লেন, চক্রবেড়িয়া, বালিগঞ্জ, কলকাতা-৭০০০১৯
Be the first to comment