সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জয়ললিতার চিকিৎসার বিল

Spread the love

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এইআইডিএম-কে নেত্রী জয়ললিতার মৃত্যু হয়েছে দু’বছর হয়ে গেল। এতোদিন পর হঠাৎই সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল তাঁর চিকিৎসা খরচের বিল!

জয়ললিতার চিকিৎসা চলছিল চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে। সোমবার রাতে সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই আবির্ভাব হয় ওই হাসপাতালেরই বিলের একটি পৃষ্ঠার ছবি। তাতে রোগীর নাম লেখা রয়েছে, ‘মিস জয়ললিতা।’ দেখা যাচ্ছে, বিলে লেখা রয়েছে চিকিৎসা বাবদ হাসপাতালের মোট প্রাপ্য ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে এখনও বকেয়া রয়েছে ৪৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।

বিল অনুযায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়ললিতার খাবারের জন্যই খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ চার হাজার টাকা। খাবারের ওই বিল নিয়ে নানারকম তীর্যক মন্তব্যও চলছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। যদিও হাসপাতাল সূত্রের বক্তব্য, ওটা জয়ললিতার একার খাওয়ার বিল নয়। তাঁকে দেখতে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের আতিথেয়তার জন্যও খরচ হয়েছে। এ ছাড়া ডাক্তারের ফি বাবদ হাসপাতাল ৭১ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে।

জয়ললিতা যখন মৃত্যু শয্যায় তখন সিঙ্গাপুর থেকে রিচার্ড বেইল নামে এক চিকিৎসককে আনা হয়েছিল চেন্নাই। বিল অনুযায়ী বেইল ৯১ লক্ষ টাকা ফি নিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালকে প্রফেশনাল ফি দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। সর্বোপরি বেড ভাড়া বাবদ ধার্য করা হয়েছে ১.২৪ কোটি টাকা। জয়ললিতা ছাড়াও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহায়ক ও কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থাও হয়েছিল হাসপাতালে।চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে জয়ললিতার মৃত্যু হয় ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর। বিল অনুযায়ী তার সাত মাস পর ২০১৭ সালের জুন মাসে হাসপাতালকে ৬ কোটি টাকা দেয় এআইডিএমকে। আবার জয়ললিতার মৃত্যুর আগে হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছিল ৪১.১৩ লক্ষ টাকা। তবে ওই টাকা কে দিয়েছিলেন তা লেখা নেই বিলে।

প্রসঙ্গত, জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে তামিলনাড়ুতে এআইডিএমকে সরকার বিচারপতি আরুমুগাস্বামী কমিশন গঠন করেছিল। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা ঠিকমতো হয়েছিল কিনা তদন্ত করে দেখাই কমিশনের লক্ষ্য। হাসপাতালের বিলটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এ দিন সাংবাদিকরা কমিশনের চেয়ারম্যান ও হাসপাতালের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু দু’জনেই জানান, তাঁরা ওই বিল ফাঁস করেননি।

তবে বিলের সত্যতা স্বীকার করে নেন অ্যাপোলো হাসপাতালের আইনজীবী মইমুনা বাদশা। তিনি বলেন, মোট ২০০ পৃষ্ঠার একটি বিল পেশ করা হয়েছে কমিশনে। এক পৃষ্ঠার বিলটি সারাংশ মাত্র।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*