পুরভোটে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোই বামেদের মূল লক্ষ্য। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই এই বার্তা স্পষ্ট করল বাম নেতৃত্ব। শাসক দল ও গেরুয়া শিবিরকে পরাজিত করার জন্য কিছু আসনে অন্য দলকে সমর্থন করার বার্তা দিয়েছে বামেরা। সেই তালিকায় কংগ্রেস, আইএসএফও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার। গতকালই কলকাতা পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর তারপর সবার আগেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বাম শিবির। বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তারা।
শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কল্লোল মজুমদার জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কিছু নির্বাচনে ভোট- পূর্ব জোটের পথে হেঁটেছিল বামেরা। কিন্তু তাতে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়, যার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাই এবার রণকৌশলগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর জন্য বাম নেতারা দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন। তারপরই আসন নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় রাজ্য নেতৃত্বকে।
কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘বামফ্রন্ট আগে নিজস্ব শক্তির ভিত্তিতে কোথায় কোথায় লড়তে পারবে, তা স্থির করা হয়েছে। সব জায়গায় সংগঠন শক্ত নয়। সেখানে দাঁতে চেপে লড়াই করব। আমাদের দলের যে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হয়েছে. সেই শক্তিকে ধরে রাখার জন্য কোথাও কোথাও আমরা শক্তি পরীক্ষা করব।’ তবে ঐতিহ্য়গতভাবে কোথাও কোথাও শক্তি কম থাকায়, সেখানে প্রার্থী দিলে আসন ভাগ হওয়া ছাড়া আর কিছু হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাই এমন ১৫-১৬ টি আসন বেছে নেওয়া হয়েছে যেখানে আদর্শগত বা অন্যান্য অনেক পার্থক্য থাকলেও কোনও দলের লক্ষ্য যদি তৃণমূল বা বিজেপিকে হারানো হয়, তাহলে সেখানে ওই দলকে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করবে বামেরা।
আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের ঘোষণা না করলেও কয়েকটি আসনে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন বামেরা। জানানো হয়েছে, ওই সব ক্ষেত্রে কংগ্রেস, আইএসএফ বা কোনও প্রতিথজশা প্রাথী হলেও বামেরা সমর্থন করবে।
এ দিন বেশির ভাগ আসনের প্রার্থী তালিকাই প্রকাশ করেছে বামেরা। মহিলা প্রার্থী আগের থেকে বেড়েছে, এবারের তালিকায় রয়েছেন ৫৬ জন মহিলা। পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ৫৮ জন ও সংখ্যালঘু প্রার্থী ১৭ জন। প্রায় ৫০ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ৫০এক নীচে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও তরুণ মুখের ওপর জোর দিয়েছে বামেরা। গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে যাঁদের নাম থাকছে, তাঁরা হলেন পল্লব মুখোপাধ্যায়, অজিত চৌধুরী, মানজার এহসান, দীপু দাস, বরুণ দাস, ফৈয়াজ আহমেদ খান, মধুছন্দা দেব, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, মঞ্জু কর, রত্না রায় মজুমদার।
Be the first to comment