কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্য বামফ্রন্ট। কৃষকদের সমর্থনে দফায় দফায় রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা। দেশ এবং রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনেও লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বছরের শেষ মাসে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে ১৬ টি বামপন্থী ও সহযোগী দল।
দেশজুড়ে কৃষকদের দুর্বার আন্দোলন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি , ধানের সংগ্রহ মূল্য , সার , বিদ্যুৎ , পেট্রল , গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, প্যানেলভুক্ত শিক্ষিত যুবক যুবতিদের চাকরির দাবিতে আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলন করবে তারা। ইতিমধ্যেই সবকটি বামপন্থী ও সহযোগী দলের বৈঠক হয়েছে মুজ়াফফর আহমেদ ভবনে। বৈঠকের ঘোষণা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন , “বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হটাও রাজ্য বাঁচাও”-এর কথা মাথায় রেখে আন্দোলনে শামিল হতে হবে।
দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম নেতৃত্ব । তিনটি কৃষি আইন এবং নতুন বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে কৃষক আন্দোলনকে সংহতি জানানো হয়েছে । ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন । ওইদিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পালিত হবে । ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষা দিবস । দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে মানবাধিকার রক্ষা দিবস উদযাপন করা হবে । কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, সেই বিষয়েও মানুষের কাছে প্রচার করা হবে ।
১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস। বর্তমান সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। বামেদের দাবি, সারাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার, জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এই দিনটিতেও মধ্য কলকাতার এন্টালি বাজারে সমাবেশ করবে রাজ্য বামফ্রন্ট । আবার ২৯ ডিসেম্বর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে রানি রাসমণি রোডে বিক্ষোভ-সমাবেশ রয়েছে তাদের।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পাঁচ বছর বাদেও রাজ্য সরকার নিয়োগ করেনি । উত্তীর্ণ হাজার হাজার প্যানেলভুক্ত শিক্ষিত যুবক যুবতির যে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের দুই বিরোধী নেতা ।
Be the first to comment