আর জি কর মামলায় আজ ফের সুপ্রিম শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুরু সওয়াল-জবাব। দেশের উচ্চ আদালতে আজ মুখোমুখি ইন্দিরা জয়সিং, কপিল সিব্বল ও বৃন্দা গ্রোভার। রাজ্যের তরফের আইনজীবী সিব্বল। এদিকে আজ গীতা লুধরার বদলে জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে সওয়াল করবেন ইন্দিরা জয়সিং। অন্যদিকে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর বদলে নির্যাতিতার হয়ে এবার সওয়াল করবেন বৃন্দা গ্রোভার। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে কী জানাবে রাজ্য-সিবিআই? কী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত? সেদিকেই নজর গোটা দেশের। সুপ্রিম শুনানির প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে চোখ রাখুন রোজদিনের লাইভ আপডেটে (LIVE UPDATE)।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৫ : সুপ্রিম কোর্টে শেষ আর জি কর মামলার শুনানি। উৎসবের ছুটির পর প্রথম সোমবার অর্থাৎ আগামী ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৫ : রাজ্যের আইনজীবী আরও জানান, হাসপাতালে বেড না দেওয়ার জন্য এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কোনও ডাক্তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ জানান তিনি। যদিও ডাক্তারদের আইনজীবী করুণী নন্দী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। এই তথ্য সঠিক নয় বলেই জানান তিনি। সলিসিটর জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি জানান, আগামী শুনানিতে টাস্ক ফোর্সের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবে আদালত। তবে সেই টাস্ক ফোর্সে পশ্চিমবঙ্গের কারও নাম নেই, সেই বিষয়টি আদালতের নজরে আননে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা। কমপক্ষে একজন প্রতিনিধি যাতে রাজ্য থেকে থাকে, সেই অনুরোধ জানান তিনি। ইন্দিরার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রধান বিচারপতিও। টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ইন্দিরাকে জানান তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪২ : রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুনিয়র ডাক্তারেরা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রে পরিষেবা দিচ্ছেন না তাঁরা। যদিও তাতে আপত্তি জানান জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি বলেন, “এটি ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।” তখন প্রধান বিচারপতিও জানতে চান, কেন শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা কথা বলা হচ্ছে? তা হলে কি সব ডাক্তারেরা সব ডিউটি করছেন না? ইন্দিরা জানান, প্রয়োজনীয় পরিষেবা মধ্যে বহির্বিভাগের পরিষেবা পড়ে না। যদিও প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রগুলি-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা কাজ করবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৪ : আর জি কর মামলার শুনানিতে সাগর দত্ত মেডিক্যালে হামলার প্রসঙ্গ তুললেন আইনজীবী করুণা নন্দী।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:২৯ : আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরেছেন।”
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:২৫ : সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে তা রাজ্যের আইনজীবীর থেকে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। রাজ্য জানিয়েছে, তাতে আরও কিছু সময় লাগবে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। আইনজীবী জানান, রাজ্যে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতির কারণে কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১৫ : দ্বিবেদী বলেন, “সিবিআই কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে রাজ্য প্রস্তুত, কোনও সমস্যা নেই।”
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১২ : প্রধান বিচারপতি সলিসিটার জেনারেলকে বলেন, “দয়া করে বলুন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত চলছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কি কোনও পদক্ষেপ করেছে?” কোন ৫ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই তথ্য জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৯ : যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে, এমন সাতজনকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার আর্জি আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের। তিনি আরও বলেন, “তাহলে কীভাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজে ফিরবেন?”
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৭ : আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, “এটা সাধারণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নয়। ঘটনাস্থলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের চারজন ছিলেন।”
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫ : আর জি কর মামলার শুনানিতে উঠল ২০০৩ সালের চন্দন সেন মৃত্যু প্রসঙ্গ। এই মামলারও তদন্ত সিবিআইয়ের করা প্রয়োজন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৩ : রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি জানান, চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় কী ভাবে এটি হল? যদিও সলিসিটর জেনারেল জানান, চশমা খুলে না রাখার জন্য সেটি হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০০ : সিবিআইয়ের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, “সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক।”
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৩ : আর জি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫২ : আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী সুপ্রিম কোর্টে জানান, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় হাই কোর্টে শুনানি হয়নি। ওই বিষয়টি হাই কোর্ট শুনতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের থেকে জানতে চান আইনজীবী।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫০ : আরজি করের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর এগোল, তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের থেকে স্টেটাস রিপোর্ট দেখতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৫ : নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আরও জানান, আরজি কর নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানানো হয়েছে। তাঁর আর্জি, ওই ছবিটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হোক। যদিও প্রধান বিচারপতি জানান, ওই ছবিটি বন্ধের নির্দেশ দিতে হলে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তখন বৃন্দা আবেদন জানান, সমাজমাধ্যমে নজরদারি চালানোর জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হোক। নির্যাতিতার ছবি-সহ তথ্য দেখলে তা মুছে ফেলার জন্য এই নিয়োগের আর্জি জানান তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৪০ : নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার জানান, চিঠি নিয়ে সিবিআই পদক্ষেপ করেছে। নির্যাতিতার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও আদালতে জানান তিনি। সে কথায় প্রধান বিচারপতি জানান, “আমরা এই নিয়ে আগেই নির্দেশ দিয়েছি।” সলিসিটর জেনারেল তখন জানান, এটি রাজ্যের দেখা উচিত। নির্দিষ্ট করে কোথায় পোস্ট হচ্ছে সেই বিষয়ে পরিবারের তরফে জানানো হলে বিষয়টি দেখা হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৩০ : শুরু হল দেশের উচ্চ আদালতে আরজি কর মামলার শুশানি।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৫ : বিকাল ৪টে ১৫মিনিট নাগাদ আরজি কর মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন। প্রধান বিচারপতি জানান, “৫ মিনিট পরে আমরা ফিরে আসেছি।” অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ জানান, তিনি দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে চান। এর পরে বিচারপতিরা উঠে যান এবং পাঁচ মিনিট পরে আবার বেঞ্চ বসে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০০ : দিনের শেষ মামলা হিসাবে আর জি করের শুনানি শুনবেন বিচারপতিরা।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৫ : দুপুর ২টোয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বসার পর শুরুতে অন্য কিছু মামলার শুনানি চলছে। অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যেই আরজি কর মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:০০ : ৯ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। তার পর থেকে ৫০ দিনেরও বেশি অতিক্রান্ত। সোমবার ৫৩তম দিন। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে আরজি কর মামলার পঞ্চম শুনানি সোমবার।
Be the first to comment