রাজ্যের অনুরোধের পর আজ থেকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারবেন ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের কর্মীরা। এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পূর্ব রেল। কারণ এখন রাজ্যে রেল পরিষেবা বন্ধ করোনাভাইরাসের জেরে। কিন্তু ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। আর এই রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে যদি মুখ্যমন্ত্রী রেল চালু করার অনুমতি দেন। কিন্তু এখন কী তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত ধার্য করেছে। তবে তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে জারি করা বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে কিছু কিছু খাতে আংশিক ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও রেল পরিষেবার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করায় উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন অনেকে। তাঁদের প্রশ্ন, কবে আবার স্বাভাবিক হবে রেল পরিষেবা?
উল্লেখ্য, বেশিরভাগ মানুষের রুজি–রুটি নির্ভর করে এই রেল যাত্রার মাধ্যমেই। রেল পথেই নিজের কর্মক্ষেত্রে সহজেই পৌঁছে যায় রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ। সুতরাং রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এখন কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার দিন গুনছেন মানুষজন। এই বিষয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা বলেন, ‘রেল চলাচল বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। তবে আমাদের কাছে রেলের কর্মী সংখ্যা এবং বগী সংখ্যাও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আমরা পুরোপুরি তৈরি আছি। রাজ্য সরকার যেদিন বলবে, সেদিন থেকেই আমার পরিষেবা দেওয়া শুরু করব।’
Be the first to comment