দীর্ঘ ৬ মাস পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে কলকাতা–শহরতলির তথা গ্রামবাংলার লাইফলাইন লোকাল ট্রেন। রবিবারই দেখা গিয়েছে বাদুড়ঝোলা ভিড়। ছুটির দিনেই এই ভিড় দেখে অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই ভিড় মারাত্মক আকার নেবে। ঘটল তাই। সোমবার দেখা গেল কোভিড–১৯ বিধি পিছনে ফেলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল লোকাল ট্রেনের উপর।
ঠিক কী দেখা গেল? সোমবার অফিসে যোগ দিতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় দেখা গেল প্রতিটি লোকাল ট্রেনে। কলকাতায় আসার জন্য সেই ভিড় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করল। হুগলি, হাওড়া, ব্যারাকপুর, বারাসাত, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা থেকে কলকাতায় আসার ভিড় কোভিড–১৯ বিধি মানার ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটিয়েছে। হাজার হাজার অফিসযাত্রীরা আজ ভিড় করেছেন কোনও বিধির তোয়াক্কা না করে। এমনকী দেখা গেল, কোনও কোনও লোকালে তিল ধারণের জায়গা নেই। আবার অনেকে মাস্ক না পরেই সফর করছেন।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, লোকাল ট্রেন চালাতে হবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে। আজ সেসব কথার কথাই হয়ে রইল। একাধিক লোকাল ট্রেনে বসার–দাঁড়াবার জায়গা পর্যন্ত নেই দেখা গেল। এই পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ব রেলের মুখপাত্র একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা রেল পরিষেবা মসৃণভাবে দিতে পারব না। যদি না করোনা আবহে যাত্রীরা সহযোগিতা করে। নিয়ম না মানলে কিছু করার নেই।’
রেল সূত্রে খবর, লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেসাল ট্রেনও চলছে। তারপরেও এই লাগামছাড়া ভিড় সংক্রমণ বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি কমপার্টমেন্টে ১২৪ জন যাত্রী বসার কথা। আর ন্যূনতম ৬২ জন সেখানে সফর করতে পারবেন। কিন্তু দেখা গেল, প্রতিটি কমপার্টমেন্টে তিল ধারণের জায়গা নেই। রবিবার ৯১৪ জন রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
Be the first to comment