বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু করার আবেদন জানিয়ে এবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। লোকাল ট্রেন চালু করার আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। এর আগে বিজেপির আরেক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও লোকাল ট্রেন খোলার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। এবার আরেক বিজেপি সাংসদকে চিঠি লিখে দরবার করতে দেখা গেল।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। রাজ্যে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলা থেকে শুরু করে বাস পরিষেবা চালু, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু এখনই রাজ্য সরকারের তরফে লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে কোনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, গত এপ্রিলের শেষ থেকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে লকডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর ফলে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু গত ২ সপ্তাহ ধরে লকডাউন পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রগুলি খুলে গিয়েছে। এমনটি রেস্টুরেন্ট, জিম, সেলুনও খুলে গিয়েছে। বাস পরিষেবাকেও খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে এখনও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি। এর ফলে যাঁরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ট্রেনকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেন, তাঁরা খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।
লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য বাসে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। এভাবে যদি বাসে ভিড় বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু তার থেকেও সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে। সেটাকে কিন্তু নজরে রাখা হচ্ছে না। তাই বাংলার মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে পূর্ব রেল, দক্ষিণ–পূর্ব রেল ও মেট্রো পরিষেবা আবার স্বাভাবিক করা হোক। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই পরিষেবাকে এবার সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হোক।
এর আগে, শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএমের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য চিঠি দিয়ে আর্জি জানানো হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার এখনই লোকাল ট্রেন না চালানোরই পক্ষপাতী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নিজেই জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন খুলে দিলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই লোকাল ট্রেন চালুর করার ক্ষেত্রে সেই বিষয়টিকেও ভাবনাচিন্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। ইতিমধ্যে বিশেষ কিছু পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লোকাল ট্রেনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে না ফেরায় সাধারণ মানুষকে এখনও অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়েছে।
Be the first to comment