লকডাউনের মেয়াদ আরও দু’সপ্তাহ বাড়াতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। বিশেষত কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে নয় নবান্ন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এমনই জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এমনই খবর নবান্ন সূত্রে। মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, রাজ্য মনে করছে এখনই লকডাউন তুলে নিয়ে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে বাকি এলাকায় ধাপে ধাপে ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও এখনই মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রেও রাজ্যের তরফে আপত্তির কথা জানিয়েছেন রাজীব সিনহা। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই রেল যেভাবে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরাচ্ছে, তা নিয়ে আজ ক্যাবিনেট সচিবের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, একই বিষয়ে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল মন্ত্রকের এই ভূমিকায় করোনা-সংক্রমণ পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘রেল মন্ত্রকের কি কোনও দায়বদ্ধতা নেই?’
নবান্ন সূত্রের খবর, একসঙ্গে এতজন শ্রমিক রাজ্যে এলে করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিবও। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা’ মেনেই যে চলা হচ্ছে, তা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এছাড়াও এদিনের কনফারেন্সে ঘূর্ণিঝড় উম্পুন নিয়েও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। উম্পুনে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় এবং পুনর্গঠনে ব্যবস্থার বিষয়ে জানান তিনি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা করেন ক্যাবিনেট সচিব। দেশে সর্বত্রই হঠাৎ করে করোনা পজিটিভের সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজীব গৌবা। বিশেষত, পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যদের যাতায়াতের পরপরই যে এই সংখ্যাবৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিয়ে জানান কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। এমন অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে সব রাজ্যের মতামত জানতে চেয়েছেন তিনি। শনিবারের মধ্যে লিখিতভাবে তা রাজ্যগুলিকে জানাতে হবে।
Be the first to comment