হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের গড়ও ১০০০ ছুঁতে চলেছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪,৮২৩৷ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৮২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে রাজ্য। সাতদিনের মেয়াদে চার জেলায় আরেক দফা লকডাউন কার্যকর হবে এ দিন বিকেল পাঁচটা থেকে।
ঠিক কোন কোন এলাকায় লকডাউন:
কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৩৬টি ৷ এর মধ্যে রয়েছে-20/1/N মতিলাল বসাক লেক, কাঁকুড়গাছিসত্যম টাওয়ার, 64A আলিপুর রোড5B জাজেস কোর্ট রোড, আলিপুর19A শরৎ বোস রোড49B, 36A, 44, 8/1B, 12A চক্রবেড়িয়া রোডP12 কাঁকুড়গাছি, সিআইটি রোড, স্কিম 7 এম1/2 আরিফ রোড, উল্টোডাঙাঅধরচন্দ্র দাস লেন উল্টোডাঙা6A এনএসসি বোস রোড, টলিপার্ক অ্যাপার্টমেন্ট138 পূর্বালোক, মুকুন্দপুর55A, শরৎ ব্যানার্জি রোড, ভবানীপুর8/C, 3A, 4/1D হরিপাল লেন, বড়তলাজহরলাল দত্ত লেন, দত্তাবাগান। ১ বেলভেডিয়র রোড, আলিপুর2 বিজয়গড়76-157 ড. জিএস বোস রোড, কসবা138, রাজা রামমোহন সরণি, আমহার্স্ট স্ট্রিট46/57, 57, 104, 96A, 106/2A আমহার্স্ট স্ট্রিট মাঙ্গলিক থেকে যুবশক্তি সম্মিলনী ক্লাব,অজয়নগর17 উল্টোডাঙা মেন রোড, করবাগান 34L, 64 সুরেন সরকার রোড, ফুলবাগান তরণকৃষ্ণ নস্কর লেন, চাউলপট্টি রোড ক্রসিং, বেলেঘাটা 85-158 সুইনহো লেন, কসবা বৈদ্যপাড়া হাইস্কুল-ভুবনমোহন রায় রোড,সখেরবাজার 51 প্রগতিপল্লি-245C মহাত্মা গান্ধি রোড32, 67B, 5/7 বলরাম দে রোড, গিরিশ পার্ক, লিন্টন স্ট্রিট, বেনিয়াপুকুর।
উত্তর ২৪ পরগনায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৯৪ ৷ দক্ষিণ দমদম পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ১১ ৷ বারাসত পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৮৷ মধ্যমগ্রাম পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৬ ৷ হাবড়া পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৫ ৷ বিধাননগর পুরসভায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৫ ৷ হাওড়ায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৪৫
প্রশাসনের যুক্তি অনুযায়ী, করোনা সংক্রমিত এলাকা ‘এ’ জোন এবং বাফার জোন অর্থাৎ ‘বি’ জোনকে নিয়ে এই লকডাউন।
বুধবার কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় ব্যাপক রদবদল হয়। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগণার তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সেই তালিকা পর্যালোচনা করতে বলেন।
নতুন লক়ডাউন বিধি:
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, এবার মাস্ক না পড়লে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। মঙ্গলবার সন্ধাতেই জেলায় জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন গাইডলাইন দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখতে হবে এসব এলাকায়। এইসব এলাকায় ঢোকা বেরোনোয় কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন হোম ডেলিভারির মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠাবে বাড়িতে বাড়িতে। এইসব এলাকার মানুষের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক নয়। আপাতত লকডাউন চলবে সাতদিন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্থির হবে পরের রণকৌশল।
Be the first to comment