আনলকের আগের লকডাউনে যতটুকু ফাঁক ফোকর ছিল তা মেরামত করে নিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের পর শনিবার সপ্তাহের দ্বিতীয় লকডাউনেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর শনিবার বিকেল পর্যন্ত কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছে এক হাজারেরও বেশি আইন ভঙ্গকারী।
এদিনও ভোর ৬টা থেকেই রাস্তায় সক্রিয় ছিল কলকাতা পুলিশ। তবে শুধু পুলিশি সক্রিয়তা নয়, মানুষও যে আগের থেকে যথেষ্ট সচেতন তা স্পষ্ট শুনশান রাস্তার ছবিতেই। প্রয়োজন ছাড়া এটা-ওটার বাহানা দিয়ে রাস্তায় বেরোননি সাধারণ মানুষ। নিজেদের ঘরবন্দি রেখেছে জনগণ। তবে পুলিশি সক্রিয়তাও লকডাউন সফল হওয়ার অন্যতম কারণ বলে পুলিশ করছে।
দ্বিতীয় লকডাউনে কেমন ছিল পুলিশি ব্যবস্থা জেনে নিন!
১) ৫৬ টি পুলিশ পিকেট বসেছে শহরে।
২) ২৮ টি জায়গায় বিশেষ নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা ছিল।
৩) ৫১টি বড় খুচরো বাজার ও ৫ টি পাইকারি বাজারে বিশেষ নজরদারি। কেউ যাতে নজর এড়িয়ে কোনও দোকান খুলতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
৪) এছাড়া ছোট বাজারগুলোতে নজর রেখেছে স্থানীয় থানা।
৫) লালবাজারে ৩টি অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম বসেছে।
৬) প্রস্তুত রাখা হয়েছিল কমব্যাট ফোর্সকে।
৭) প্রত্যেক ডিভিশন অফিসে অতিরিক্ত রিজার্ভ ফোর্স।
8) প্রত্যেক ডিসি, জয়েন্ট সিপি, এডিশনাল সিপিকে রাস্তায় ঘুরে পুলিশি ব্যবস্থায় নজরদারির নির্দেশ।
এসবের পাশাপাশি শনিবার রাস্তায় প্রিজনভ্যান নিয়ে টহল দিয়েছে পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় বেরোতে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে প্রিজনভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত মাস্ক না পরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩৬ জনকে। আর লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩৫ জনকে। মামলা রুজু করা হয়েছে ১৭৫টি। প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরনোয় বেশকিছু গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দিনের দুটি ধাপে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল শহরে। লালবাজারের নির্দেশ মেনেই থানাগুলি লকডাউন অমান্য করে ১৮৮ ধারা ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের বিশেষ ধারায় মামলা করেছে। সকাল থেকে নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাফিক ও থানা যৌথভাবে রাস্তায় বেরনো গাড়ি থামিয়ে চেক করেছে। রাস্তায় বেরনোর উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে মামলা করা হয়েছে। রাস্তায় অযথা ঘোরাঘুরি করতে দেখলেও একই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
Be the first to comment