লকডাউনের দ্বিতীয় দফায় বুধবার থেকেই চালু একাধিক নতুন নিয়ম

Spread the love

মঙ্গলবারই নতুন করে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯ দিন ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে গোটা দেশ। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বেশ কিছু নতুন নিয়ম ঘোষণা করল। লকডাউন ২.০-এর জন্য এই নতুন নিয়ম দেখুন এক নজরে।

১. বাড়ির বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নয়তো কারাদণ্ড বা মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে।

২. স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

৩. বিমান, ট্রেন, মেট্রো ও স্থলপথে যাবতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে।

৪. স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৫. গ্রামের বিভিন্ন কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত।

৬. ২০শে এপ্রিল থেকে নির্ধারিত কিছু পরিষেবা মিলবে

৭. কৃষি কাজ সংক্রান্ত সব ধরণের কাজ শুরু করার ছাড় দেওয়া হয়েছে

৮. পরিবহণ বন্ধ থাকলেও, পণ্য পরিষেবায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে

উল্লেখ্য, বুধবার একগুচ্ছ নতুন নিয়ম জারি করা বলে জানিয়ে ছিলেন মোদি। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যেসব নতুন নিয়ম চালু করা হবে, তা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। তবে এগুলি তৈরি করার সময় মাথায় রাখা হয়েছে দরিদ্র ও দিনমজুরদের কথা।

যারা দিন আনি দিন খাই সম্প্রদায়ভুক্ত, তাদের স্বার্থের কথা চিন্তাভাবনা করেই নতুন নিয়ম জারি হবে। এছাড়াও এই মুহুর্তে সরকারের চিন্তায় বিষয় নতুন শষ্য ওঠার বিষয়টি। মাঠে এখন রবি শষ্য উৎপাদনের কাজ চলছে। সেই কাজে যাতে বাধা না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখছে কেন্দ্র।

এদিন নিজের ভাষণে মোদি বলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের দিকটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সমস্যায় রয়েছে দিনমজুররাও। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাদের রোজগারও বন্ধ হয়ে রয়েছে। তবে কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করে চলেছে।

বুধবার নতুন নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে তা বলবৎ করা হয়েছে। যে সব পরিষেবা ও কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে সেগুলির তালিকা এক নজরে।

১. জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, বার, সিনেমা হল, মল, শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

৩. ধর্মীয় বিভিন্ন স্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত

৪. কোনও রাজনৈতিক জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হবে না

৫. কোনও স্পোর্টস মিট বা খেলার আসর বসানো যাবে না।

তবে যেসব দিনমজুর বা শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে বা কাজের জায়গাতে থেকে কাজ করছেন, তাদের কাজ চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তার নজরদারি চালাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও পুলিশ। তেসরা মে পর্যন্ত পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিবহণে ছাড় রয়েছে। চা, খাদ্যদ্রব্য, দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, কফি, রবার উৎপাদন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় যেসব খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে সেগুলি চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকার নির্মাণ কাজ, শিল্পের নানা প্রকল্প, এমএনআরইজিএ-এর অধীনে থাকা একাধিক কাজ ও জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলি চালু থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*