এবার লকডাউনের পথে হাঁটল আরও একটি রাজ্য। ১০ মে থেকে কর্ণাটকে জারি হচ্ছে সম্পূর্ণ লকডাউন, যা চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। দোকান, যানচলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিষেবাগুলি চালু রাখা হবে। এদিকে ৮ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত কেরালাতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে।
কেরালার একাধিক জেলায় মোট বাসিন্দার ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এরআগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কেরল। করোনার ঝড়ে ভারতে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। একদিকে রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ। অন্যদিকে, দেশে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সুনামি রুখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটলেও এখনও সে পথ বাছেনি মোদী সরকার। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই জানিয়েছেন, যে কোনও উপায়ে লকডাউনকে এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু, যে হারে দেশে সংক্রমণের ঢেউ উঠেছে, তাতে লকডাউন জারির পক্ষে সওয়াল করলেন আমেরিরকার শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাওচি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে অবিলম্বে ভারতে কয়েক সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
মাত্র একদিনে মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ১৯৪ জন। কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৮। কেরালায় ৪২ হাজার ৪৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত ২৬ হাজার ৬২২ জন। তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৮৯৮ জন। জানা গিয়েছে, মোট আক্রান্তের প্রায় ৪৯.৫৫ শতাংশ ওই পাঁচ রাজ্য থেকেই। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ১৫.০২ শতাংশ মানুষ। মৃত্যুর নিরিখেও এগিয়ে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে করোনায় মারা গিয়েছেন ৮৫৩ জন। এদিকে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫০।
Be the first to comment