তেলেঙ্গানা সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, লকডাউন ১৭ মে শেষ করা হবে না। এবার একই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। শুক্রবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
এদিন তিনি এক সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অন্তত রেড জোনগুলিতে লকডাউন বাড়ানো হতে পারে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। বিশেষ মুম্বই ও পুনের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই দুই জায়গা থেকেই এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ৯০ শতাংশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সব দলের নেতারাই এদিন পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ মুম্বইয়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন এদিন। কীভাবে হাসপাতালে মৃতদেহ পড়ে আছে সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রোগীদের বিছানার আশপাশেই ছড়ানো রয়েছে ব্যাগে মোড়া মৃতদেহ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাস সেই ভিডিও। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত সিয়ন হাসপাতালে। ভিডিওটি সামনে আসতেই অনেকেই আঁতকে উঠছেন।
গত কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভিডিওটি শেয়ার করেন মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি নেতা। মারাত্মক এই ভিডিওটি শেয়ার করে ওই বিজেপি নেতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘‘সিয়ন হাসপাতালের মৃতদেহের পাশেই ঘুমোচ্ছেন রোগীরা! এ কেমন প্রশাসন! খুব লজ্জাজনক ঘটনা।’’। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগীদের পাশেই রাখা আছে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে সাত-আটটি দেহ। নিঃসন্দেহে সেগুলি করোনা আক্রান্তেরই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েই। প্রবল অস্বস্তিতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। যদিও এই বিষয়ে সিয়ন হাসপাতালের ডিন প্রমোদ ইনগালে জানিয়েছেন, মারণ করোনা ভাইরাসেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
Be the first to comment