৫২ ঘণ্টার পর মঙ্গলবার প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে মিলেছিল ছোট্ট শিবমের নিথর দেহ। যা নিয়ে গতকাল থেকে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙা পাড়া। বুধবার সেই ঘটনার পরিদর্শনে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মোলডাঙা পাড়ায় ঢুকতেই পারেননি বিজেপি নেত্রী। তা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক চাপান-উতর তৈরি হয়েছে।
গত রবিবার বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুর। থানায় পরিবার অভিযোগ জানানোর পর থেকেই, চলে চিরুনি তল্লাশি। নামানো হয় পুলিশ কুকুর। তারপরও কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বীরভূম পুলিশ-প্রশাসনকে। যদিও পুলিশের তদন্তে গ্রামবাসীরাও সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিন দিন পর গতকাল দুপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে মেলে শিবমের নিথর দেহ। এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মোলডাঙা পাড়া। অভিযুক্তদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
শিবমের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতর তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। বুধবার বিধানসভায় শিবমের মৃত্যু নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিনই শান্তিনিকেতনে যেতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী।
ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে তৃণমূল। তাঁর আরও দাবি, “আমরা এসপি বীরভূমের সঙ্গে কথা বলেছি। এত বড় পোস্টে থেকে বলছেন, আমরা যথেষ্ট করেছি। আমরা ঈশ্বর নই। ভোট ব্যাঙ্কের একটা রাজনীতি আছে। এখানে যদি বেশি কিছু করতে চায়, তাহলে মমতার যে ভোট ব্যাঙ্ক আছে, তা হাতের বাইরে চলে যাবে।” লকেটে আরও বিস্ফোরক দাবি, “যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর দাদা আনারুল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি চালান না-কী করেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বিজেপি সাংসদ।
Be the first to comment