ছবি: প্রশান্ত দাস
পিয়ালি আচার্য ঃ জলপাইগুড়ির ছোট্ট মিমসি পড়াশুনা করতে কলকাতায় আসে।পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং করে প্রশংসা পায় মিমসি ওরফে মিমি চক্রবর্তী ।আকাশবাংলায় চ্যাম্পিয়ন দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু।টিভির পর্দায় পুপে চরিত্রে অভিনয় করে জাত চেনান তিনি। ধারাবাহিকটির নাম ছিলো গানের ওপারে। স্টার জলসার পর্দায় পুপে কে এখনো ভোলেননি দর্শকরা।
এরপর ডেব্যু ফিল্ম বাপি বাড়ি যা করেন।আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে টলিপাড়ার ব্যস্ত অভিনেত্রী মিমি।কিন্তু হাজার কাজের মাঝেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সবসময় হাজির মিমি। জহুরীর চোখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।বুঝতে পারেন শিক্ষিত,পরিশ্রমী,সফল অভিনেত্রী মিমি নেত্রী হিসেবে ও মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হবেন।
তাইতো যাদবপুরের মতো চ্যালেঞ্জিং আসনে প্রার্থী করেন মিমি কে।বিপক্ষের সি.পি.আই(এম) প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য দুঁদে আইনজীবী ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। আরও প্রার্থী আছেন। বিজেপির অনুপম হাজরা কিছু ভোট কাটা ছাড়া বিশেষ কিছুই করতে পারবেন বলে মনে হয় না। এলাকা ঘুরে আমাদের অভিজ্ঞতা অনুপম কে বহিরাগত বলেই বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন। আর এখানেই অ্যাডভান্টেজ মিমির।এলাকার কাছের মানুষ তিনি।এখন প্রমাণ করতে হবে তিনি কাজের মানুষ।
কামালগাজি থেকে সোনারপুর, ভাঙড় থেকে বারুইপুর ছুটে বেড়াচ্ছেন মিমি।আর মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে প্রমাণ করছেন আমি তোমাদের লোক। গান গাইছেন, সেল্ফি তোলাতে মানা নেই। ধৈর্য ধরে মেটানোর চেষ্টা করছেন সকলের আবদার।তাঁর মোবাইল খোলা,সবসময় সবার জন্য জানিয়ে দিয়েছেন মিমি।ভোটপ্রার্থী মিমি যে পরিযায়ী পাখি হবেননা তা নিজ মুখেই বলছেন। তাঁকে ঘিরে যে বিপুল জনসমর্থন তা দেখে বলতে হয় তাঁর অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ চ্যাম্পিয়ন টিভি শো তে,এবার নেত্রী হিসেবেও চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পথে তিনি। আর প্রথম ছবি বাপি বাড়ি যা প্রযোজ্য বাকি প্রার্থীদের জন্য।দাদাগিরির ভাষায় মানুষ বলছে চ্যাম্পিয়ন মিমি, বাকিরা বাপি বাড়ি যা।
Be the first to comment