
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ঘরের মাঠে লখনউয়ের কাছে ৪ রানে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ মুহূর্তে রিঙ্কু সিং ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। এদিন ইডেন গার্ডেনে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়েন্টস করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস থেমে যায় ২৩৪ রানে। ৪ রানে ম্যাচ জিতে যায় লখনউ।
মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপার জায়েন্টস। এদিন টসে জিতে লখনউকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় কেকেআর। ওপেন করতে নামেন মার্করাম ও মার্শ। প্রথম দিকে কলকাতা ভালো বল করতে থাকলেও ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রিজে সুন্দরভাবে মানিয়ে নেন লখনউয়ের দুই ওপেনার। ১০ ওভার শেষে ঋষভদের রান দাঁড়ায় কোনও উইকেট না হারিয়ে ৯৫ রান।
এরপরেই দলের ৪৭ রানের মাথায় হর্ষিত রানার বলে বোল্ড আউট হন মার্করাম। মাত্র ৩ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন তিনি। মার্করাম আউট হলেও ক্রিজে রয়েছেন মিচেল মার্শ। ভাল খেলছেন তিনি। মরসুমের চতুর্থ অর্ধশতরান করেন এই লখনউয়ের ব্যাটার। ১৫ ওভার শেষ লখনউয়ের রান ১৭১/১। হাতে যথেষ্ট সংখ্যক উইকেট থাকায় বড় রানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন মার্শ ও নিকোলাস পুরাণ। ১৬তম ওভারে বল করতে এসেই মার্শকে আউট করলেন আন্দ্রে রাসেল। ৪৮ বলে ৮১ রান করে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ১৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল লখনউ। হর্ষিতকে পর পর দু’টি ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করলেন পুরান। মাত্র ২১ বলে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। হর্ষিতের বলে ৬ রান করে আউট সামাদ। ২২১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় লখনউ। ৩৬ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন নিকোলাস পুরান। ২০ ওভার শেষে লখনউ করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান।
জয়ের জন্য ২৩৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই তাণ্ডব শুরু করেন কলকাতার দুই ওপেনার। ইডেনে অকাল কালবৈশাখী উঠল নাইটদের ইনিংসেও। আকাশ দীপের প্রথম ওভারেই উঠল ১৬ রান। কুইন্টন ডি’কক ভালো শুরু করেও বড় রান পেলেন না। ৯ রান করে ফিরে গেলেন নাইট ওপেনার। সুনীল নারিন ১৩ বলে ৩০ রান করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রয়োজনীয় গতি পেয়ে গিয়েছিল নাইটরা। সেটাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ৩৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি। মারেন ৮টি চার ও ২টি ছয়। যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিতে একটা সময় জয় প্রায় হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল নাইটদের। কিন্তু এভাবে যে পাশা বদলে যাবে কে ভেবেছিল! বোলিংয়ের সময় ডেথে ব্যর্থ হয়েছিলেন রাসেলরা। আর ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ রানে পড়ল ৫ উইকেট। সেটা শুরু হল রাহানের আউট থেকে। তারপর রমনদীপ সিং ফিরলেন মাত্র ১ রানে। কেন পরের দিকে নামানো হচ্ছে, মাঝে এরকম একটা ‘অভিমান’ও ছিল নাইট ব্যাটারের। এদিন আগে নেমেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী এদিন রান পেলেন না। রাসেলের মাসল পাওয়ার এদিনও দেখা গেল না। আর কবে দেখা যাবে সেটাও একটা প্রশ্ন। শেষবেলায় রিঙ্কু লড়লেন। পুরনো ফর্মের ঝলক দেখালেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু সেই মিরাকল ঘটল না। শেষ পর্যন্ত নাইটদের ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে। ৪ রানে হারল নাইটরা। সেই সঙ্গে বোলিং নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, তেমনই মাঝের সারির ব্যাটিং নিয়েও চিন্তা থাকবে।
Be the first to comment