এবার তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন লুইজিনহো ফেলেইরো ৷ শনিবার তাঁর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ গোয়ার এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন থেকে সাংসদ হতে চলেছেন ৷
ওই আসনে উপনির্বাচন আগামী ২৯ নভেম্বর ৷ যেহেতু ওই আসনে তৃণমূলের সাংসদ ছিল ৷ তাই ফেলেইরোর জয় একপ্রকার নিশ্চিত ৷ বিরোধী বিজেপি যদি প্রার্থী না দেয়, তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাবেন ফেলেইরো ৷
গত অগস্ট ও অক্টোবরে রাজ্যসভার দু’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দু’টিতেই তৃণমূলের সাংসদ পদত্যাগ করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হতে পেরেছেন জওহর সরকার ও সুস্মিতা দেব ৷ তাই এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
তবে সবকিছু ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই কারণ, অর্পিতা ঘোষ পদত্যাগ করার পরই এই আসনে প্রার্থী কাকে করা হবে, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা চলছিল ৷ কারও কারও ধারণা ছিল, এই আসন থেকে বাবুল সুপ্রিয়র নাম ঘোষণা করা হতে পারে ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুইজিনহো ফেলেইরো হতে চলেছেন ওই আসনের প্রার্থী ৷
নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টুইটে দলের গোয়া শাখা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিয়েছেন ফেলেইরো ৷ তিনি লিখেছেন, গোয়ার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ ৷ প্রসঙ্গত, মে মাসে পশ্চিমঙ্গে সরকার গঠনের হ্যাটট্রিক করার পর জাতীয়স্তরে সংগঠন বিস্তার করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরা ও গোয়ায় সেই কাজ শুরু হয়েছে ৷ ত্রিপুরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস থেকে আসা সুস্মিতা দেবকে ৷ তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে আগেই ৷
এবার গোয়া থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ফেলেইরো ৷ গোয়া তৃণমূলের দায়িত্বে কার্যত তিনিই রয়েছেন ৷ তাঁর উপর নির্ভর করেই সেখানে সংগঠন বাড়াতে চাইছেন মমতা- অভিষেক ৷ তাছাড়া গোয়ায় লিয়েন্ডার পেজ ও নাফিসা আলির মতো তারকাও তৃণমূলে এসেছেন ৷ ভবিষ্যতেও তাঁরাও তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভায় জায়গা পান কি না, সেটাও দেখার !
Be the first to comment