প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেন, ছাত্র শক্তির ওপরেই ভবিষ্যতের ভারত নির্ভর করছে। দেশের ছাত্র শক্তির ওপর তাঁর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। যেভাবে ছাত্র শক্তি বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে দূর করে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করছেন, তাতে তিনি গর্ববোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশের প্রতিটি আইআইটির ছাত্ররা একটি অনুষ্ঠানে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেই উদ্ভাবনী শক্তিতে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন। তিনি আইআইটি ভুবনেশ্বরের ছাত্রদের একটি দলের পোর্টেবল ভেন্টিলেটরের কথা উল্লেখ করেন। এই পোর্টেবল ভেন্টিলেটার সদ্যজাত শিশুদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। ব্যাটারি চালিত এই ভেন্টিলেটর প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
মোদি বলেন, এই ধরনের আবিষ্কার অনেক প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করবে।একইসঙ্গে, দেশবাসীকে ছটপুজোর শুভেচ্ছাও জানালেন মোদি ৷
মাদ্রাজ ও কানপুর আইআইটি স্থানীয় ভাষা সহজে শেখার জন্য কাজ করছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে বলে তিনি মনে করছেন। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির কথা বলেন। তিনি জানান, দীপাবলির ঠিক আগে ভারত মহাকাশে ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে দীপাবলিতে এর থেকে বড় উপহার কী হতে পারে।
তিনি জানান, ভারতে আগে শুধু সরকারিভাবেই মহাকাশ বিষয়ে গবেষণা করা হত। এখন বেসরকারিভাবেও মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব হবে। এরফলে অনেক স্টার্ট আপ সংস্থা এগিয়ে আসছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা সামনে আনছে। ভারতের অভ্যন্তরে মহাকাশ গবেষণা আরও বিস্তার লাভ করেছে। তিনি বিনিয়োগকারীদের ভারতে এই সুযোগ হাত ছাড়া না করার পরামর্শ দেন।
আগামী ১৫ নভেম্বর বিরসা মুণ্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জনজাতীয় গৌরব দিবস পালন করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের স্বাধীনতা ও আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য বিরসা মুণ্ডার লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজস্থান ও গুজরাত সীমান্তে মানগড়ে ১৯১৩ সালে হওয়া আদিবাসীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসক মানগড়ে আদিবাসীদের ওপর ১৯১৩ সালের ১ নভেম্বর হামলা করে। এক হাজারের বেশি আদিবাসীর মৃত্যু হয়। সেই দিনটিকে স্মরণ করতে তিনি মানগড়ে ১ নভেম্বর যাবেন বলেও জানান।
Be the first to comment