পঞ্চম দফার ভোট মিটটেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন মিত্র। শনিবার বিকেলে কামারহাটির পার্টি অফিসেই আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি তৃণমূল প্রার্থীকে অক্সিজেন দেওয়া শুরু হয়। নিকটবর্তী একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক পৌঁছন পার্টি অফিসে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর দেখভাল চলছে। তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পঞ্চম দফার ভোটের দিন সকাল থেকেই কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। আড়িয়াদহের বুথে মদনকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সাময়িক বচসাও বাধে মদনের।
জানা যাচ্ছে, মদনের বুক পকেট সার্চ করতে যায় বাহিনী। আর এতেই বেজায় চটে যান তৃণমূল প্রার্থী। বুথে মদনকে বলতে শোনা যায়, ‘মাই নেম ইজ মদন মিত্র। কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করছে!’ পকেটে ঠাকুরের ছবি বের করে দেখান মদন। এ নিয়ে ওই বুথে সাময়িকভাবে উত্তেজনা ছড়ায়।
অন্যদিকে, ভোটের সকালে একেবারে খোশমেজাজে দেখা যায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। সকাল সকাল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন মদন। হাতে পুজোর কাপড়, কপালে বজরংবলির তিলক, পরনে সাদা পাঞ্জাবি, চোখে সানগ্লাস-এমন লুকেই দেখা গেল তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থীকে। ‘হেভিওয়েট’ শব্দ শুনেই সংবাদমাধ্যমে মদন হেসে বললেন, ‘আমার ওয়েট ৭৫ কেজি, সেটা হেভি না, লাইট, বলতে পারব না। ৭২ হলে ভালো হত’।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা টেনে তিনি বলেন, ‘আমি বরাবর এখানে পুজো দিই। গতবার নির্বাচনে হারের প্রসঙ্গে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মদন এদিন বলেন, ‘গতবার টিম ছিল, জার্সি ছিল। কিন্তু, ক্যাপ্টেন ছিল না। এবার ক্যাপ্টেন রয়েছে ময়দানে। বিজেপি এটা মনে রাখুক।’
অন্যদিকে, ভোটের দিন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল মদনের গলায়। তিনি বললেন, ‘এটা আমার জায়গা, আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি দৌড়চ্ছে।’
Be the first to comment