SSKM হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে গোলমালের জেরে তৎপর প্রশাসন। শনিবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, হাসপাতালের তরফে কোনও গাফিলতি নেই। এখানে কোনও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। কড়া হাতে দমন করা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনায় পদ্ধতিগত কোনও বেনিয়ম হয়নি। হাসপাতালে রোগী স্বার্থবিরোধী কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি। সেই সঙ্গেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছেন এসএসকেএমে কোনও দালালরাজ নেই।
শুক্রবার রাতে, কামারহাটির মদন মিত্র একজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে ভর্তি করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। জখম ব্যক্তি অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট। অভিযোগ, চিকিৎসা না করে তাঁকে ৬ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে এসএসকেএমে যান মদন। কিন্তু সেখানে বেড না থাকায় রোগীকে ভর্তি করা যায়নি। ক্ষুব্ধ হন কামারহাটির বিধায়ক। বলেন, “এটা সিপিএমের আমল হলে এই রোগীকে ভর্তি করতে আমার এক মিনিট লাগত। কিন্তু এখন পারলাম না।” এরপর নিজের উদ্যোগে জখম যুবককে অন্যত্র নিয়ে যান মদন। একই সঙ্গে SSKM-কে বয়টকের ডাক দেন তিনি।
এখানেই ঘটনার শেষ নয়। শনিবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসকেএম-এর কর্তৃপক্ষ। কারও নাম না করে ‘হুলিগান’ বলে কটাক্ষ করে তারা। মুখ্যমন্ত্রীকে সবটা জানানো হয়েছে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর কোনও জুলুমবাজি বরদাস্ত করা হবে না- জানায় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে হাসপাতালে দালাল রাজের অভিযোগেও উড়িয়ে দেয় তারা। এরপরেই আরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মদন মিত্র। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম-কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের জন্য সেই সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ মদনের।
তবে, এই বিষয়ে TMC মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মদনদা আঘাত পেয়েছেন বলেই এভাবে বলেছেন। উনি বাম আমল থেকেই পিজি হাসপাতালে প্রভাবশালী। দলমত নির্বিশেষে মানুষের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে এসেছেন। কোনও একটি ঘটনায় হয়তো উনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আবার হাসপাতাল যেটা বলেছে সেটাও একটা দিক। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। কিন্তু মদনদাকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে হাসপাতাল আরও বড় জায়গায় ভুল তথ্য দেবে এটাও যেন না হয়।”
Be the first to comment