মধ্যমগ্রামে রহস্যজনক ভাবে খুন তৃণমূল কর্মী ৷ একটি কারখানার পিছনে নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল তৃণমূল কর্মী সুধীর দাসের রক্তাক্ত দেহ ৷ কি কারণে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে ৷ সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷
তৃণমূল কর্মী সুধীর দাসের বাড়ি মধ্যমগ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের নতুনপল্লী এলাকায় ৷ রোজকার মত শনিবার সকালবেলায় ওই এলাকারই একটি কারখানায় গিয়েছিলেন ৷ বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত কারখানাটিতে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন সুধীর ৷ শনিবার সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও সুধীরবাবু বাড়ি ফেরননি ৷ এরপর পুলিশকে খবর দেন সুধীরবাবুর পরিবার ৷
গতকাল ভোররাতে তল্লাশি চালিয়ে কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে সুধীরবাবুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তবে, কি কারণে মৃত্যু হল সুধীরবাবুর সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তাকে ৷ পরিবারের তরফ থেকে মধ্যমগ্রাম থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ সিসিটিভিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি মুখে গামছা দিয়ে কারখানা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে ৷
পরিবারের দাবি, সুধীরবাবুকে খুন করা হয়েছে ৷ কিন্তু পুলিশ অপেক্ষা করছে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য় ৷
ষাটোর্ধ্ব। সচ্ছল পরিবার। নির্বিবাদ লোক। এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি । তবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে গণ্ডগোল ছিল ৷ কারখানার শ্রমিক দেখভালের মধ্যে কোনও বিরোধ, রাজনৈতিক বিদ্বেষ, কিংবা প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি বিবাদ নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল কি না সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ
Be the first to comment