প্রশান্ত দাস –
মধ্যমগ্রামের দেবীগড়ে মনসামন্দিরের কাছে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সূত্রের খবর, ৫ বছর আগে ২৭ বছর বয়সী পিয়ালী পালের বিয়ে হয় দেবীগড়ের সঞ্জয় পালের সাথে। তাদের ৪ বছরের একটি ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরের সম্পত্তির ওপর লোভ ছিল সঞ্জয়ের। যার জেরে পিয়ালীর ওপর অত্যাচার করতো সঞ্জয়। যখন তখন শ্বশুরের কাছে দাবী করতো এবং পিয়ালীকে জোর করতো, সে রাজি না হলে অত্যাচার করতো। সেই অত্যাচার বাড়তে বাড়তে চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। রাত্রি ৮ টা – সাড়ে ৮টা নাগাদ পিয়ালী তার বাবাকে ফোন করে নিজের বাড়ি চলে আসে। বাড়িতে আসার পর বাড়ির সকলে জানতে চান কি হয়েছে তার। জবাবে পিয়ালী তার বোনকে বলেছে, তার স্বামী তাকে ভয়ানক ভাবে মারধোর করেছে যার ফলে সে চলে আসতে বাধ্য হয়। এরপর পিয়ালী সবার সাথে কথা বলে ঘরের মধ্যে ঢুকে ফ্যানের সাথে কাপড় জড়িয়ে তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পিয়ালীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্তে নামে। তারপর স্বামী সঞ্জয় পাল সহ শ্বশুর ও শাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করে।
Be the first to comment