এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় নয়া নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। নকল রুখতে কড়া পদক্ষেপ করে পর্ষদ। মাধ্যমিকের জন্য ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়। এবার তারই বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বুধবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে। শুনানির শুরুতেই মামলাকারী সওয়াল করেন, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে, অনেক জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হবে। সেই সঙ্গে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি না করে শুধু ১৪৪ ধারা জারি করে কীভাবে, প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর।
শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে এজি জানিয়েছেন, এই নিয়ে রিভিউ মিটিং হবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়। সেখানে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া ভয়েস কল, এসএসএস ইত্যাদিতে বাধা নেই। সকাল ১১ টায় লাঞ্চ টাইম, তারপর ৩ টে চা খাওয়ার সময়। এই সময়ে ডেটা বন্ধ থাকবে, তবে এসএমএসে কাজ করা যেতে পারে।
রাজ্যের শুধু মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দার্জিলিং জেলায় কয়েকটি ব্লকেই এই নিয়ম রাখা হয়েছে বলে এদিন স্পষ্ট করেন এজি। যদিও মামলাকারীর বক্তব্য ইন্টারনেট বন্ধ করা মানে মানুষের বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে একটি রিভিউ মিটিং রয়েছে। এর পর আদালতে বেলা দুটোয় মামলা শুনানি থাকবে। সেখানে পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পরীক্ষা হবে বেলা ১১.৪৫ মিনিট থেকে, চলবে ৩ টে পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ৭ জেলা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং দার্জিলিঙে এই সময়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মূলত মাধ্যমিক সেন্টারগুলির আশেপাশের এলাকাগুলিতে জ্যামার লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাতে যতক্ষণ পরীক্ষা চলবে, ততক্ষণ বন্ধ থাকবে নেট পরিষেবা। ৭, ৮,৯, ১১, ১২, ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ নেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ব্লকে নেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় পর্ষদ।
Be the first to comment