বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। প্রথম ভাষার মতো দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার দিনেও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ইংরেজি প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি ছবি। তবে পরীক্ষা শেষের পর জানা যায় সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই প্রশ্নপত্র ভুয়ো ছিল। ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়নি পরীক্ষার্থীরা। তবে রোজ রোজ কে বা কারা পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বের করছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা নিয়ে কারা চক্রান্ত করছে সেটা বের করা উচিত। যাকে চিহ্নিত করতে পারব সে কঠোরতম শাস্তি পাবে। সে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হোক কিংবা না হোক ৷ আমরা যা করার করব। সোশাল মিডিয়ায় কারা কী করছে, সব ধরছি। কেউ আমাদের তালিকা থেকে বাইরে নেই।
গত বছরের মাধ্যমিকের সময়ে পরপর ছয়দিন পরীক্ষা চলাকালীন বাইরে বেরিয়ে এসেছিল প্রশ্নপত্র। সেই প্রশ্ন মিলেও গেছিল আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে। কিন্তু এই বছর যাতে সেই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রথম থেকেই সতর্ক পর্ষদ। রাজ্যের ৪২ টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। তারপরও পরপর দুই দিনই পরীক্ষা শুরুর পরে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে কড়া পথে হাঁটতে চলেছে পর্ষদ।
Be the first to comment