মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্বের পরতে পরতে ছিল টানটান উত্তেজনা। চমকও কম ছিল না। শেষমেশ বিপরীত দু’পক্ষের মধ্যে ফারাকও খুব বেশি ছিল না। পরে মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি এবং নির্দলের সমর্থন পেয়ে যাওয়ায় সরকার গড়ার ব্যাপারে কংগ্রেস এগিয়ে যায় সুবিধাজনক অবস্থানে।
কংগ্রেসের নিজের বিধায়ক সংখ্যা ১১৫। এর পরে বাকিদের সমর্থন মিলেছে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ১১৬টি আসন। কিন্তু এখানেই শেষ নয় গল্প। আর খুব সহজে হয়ওনি এমনটা। জানা গিয়েছে, এই আসন সংখ্যা যাতে কমে না যায়, তার জন্য দলের তরফে খরচ করা হয়েছে তিন হাজারটি ফোন কল! তা ছাড়া নজরদারিও চলেছে সারা রাত ধরে। কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক যাতে দল ছেড়ে অন্য কোথাও না যান, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা।
দলীয় সূত্রের খবর, কমলনাথ থেকে শুরু করে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দ্বিগবিজয় সিং সকলেই এই বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, কোনও রকম আইনি গোলমাল হলে পরামর্শ দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ৩০ জন আইনজীবীর একটি দল। সমস্ত ফোন যাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক জায়গায় করা যায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েক জন স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করা হয়েছিল ভোট পর্বে।
সারা রাত ধরে তীব্র উত্তেজনার পরে সকালের দিকে পরিস্থিতি স্পষ্ট হতে শুরু করে। পরাজয় স্বীকার করে নেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
Be the first to comment