কথায় বলে মানুষ অনেকসময় বেইমানি করতে পারে। কিন্তু কুকুর কোনওদিন বেইমান হয় না। সারমেয় প্রজাতির প্রভুভক্তি থেকেই সত্যিই বোধহয় সভ্য সমাজের এখনও অনেক কিছু সেখা বাকি রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রভুভক্তি থুড়ি মালিকের প্রতি ভালোবাসার এক অসামান্য নিদর্শন দিল একটি পুষ্যি কুকুর।
মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার কারিলা গ্রামে বছর চোদ্দোর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে গিয়েছিল দুই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া তৈরি করবে বলে আবর্জনা পোড়াতে ঘরের বাইরে এসেছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ সেই সময় তাকে ধর্ষণ করতে আসে ওই দুই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি আইশু আহিরওয়ার এবং পুনিত আহিরওয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ছুরি নিয়ে ভয় দেখিয়ে কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় আইশু এবং পুনিত। অভিযোগ, এরপর সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তারা। সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে মেয়েটি। আর সেই সময়েই পরিত্রাতা হিসেবে হাজির হয় তার এক পোষ্য কুকুর। ছোট্ট মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে। সটান কামড় বসায় আইশুর পায়ে। জেরায় পুলিশকে আইশু জানিয়েছে, সে বারবার ছুরি দিয়ে কুকুরটিকে আঘাত করলেও একচুলও নড়েনি নাবালিকার ওই পোষ্য।
এই অবস্থায় কোনওমতে আইশু এবং পুনিত হাত থেকে বেঁচে নিজের বাড়িতে ফেরে ওই কিশোরী। চিৎকার চেঁচামেচি এবং নাগাড়ে কুকুরের ডাক শুনে বেড়িয়ে আসেন প্রতিবেশিরা। গোটা ঘটনা শোনার পর ওই বাড়ির দিকে যান তাঁরা। উন্মত্ত জনতাআর ভিড় দেখে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। শনিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার। সোমবার আইশু এবং পুনিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এবং পকসো আইনে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment