মিতালী মিত্র : এবার পুজোয় ম্যাডক্স স্কোয়ারকে চ্যালেঞ্জ দিতে তৈরি নিউ টাউন। এটা সূচনা মাত্র, মূল পরিকল্পনা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে। গোপনীয়তা বজায় রাখতে এমনকি কর্মকর্তাদের অনেককেই রাখা হয়েছে অন্ধকারে। ফাঁকফোকরে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে চমক আছে। পুজোর থিকথিকে ভিড়ে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে যাঁরা ভয় পান, তারা অনায়াসে চলে আসতে পারেন নিউ টাউনে প্রকৃতির মাঝে। সেক্টর ফাইভ থেকে নিউ টাউন যাওয়ার ব্রিজ উঠলেই কানে আসবে ড্যাম কুর কুর ঢাকের বোল। নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডে প্রায় একশো ঢাকীর হাতের ছন্দে আগমণীর বরণ হবে। ইচ্ছে হলে আপনিও কাঁধে তুলে নিতে পারেন একটি ঢাক, মেতে উঠুন পুজোর উৎসবে। শুধু এখানেই নয়, গ্রাম থেকে আসা ঢাকিরা থাকবেন ইকো পার্কের এক, দুই, তিন এবং চার নম্বর গেটের ভিতর। প্রতিমা না থাকলেও এখানে ঢাকের বোলে জমে উঠবে পুজো। তবে সবচেয়ে বড় চমক থাকছে ইকো পার্কের দুই নম্বর গেটের ঠিক ভিতরেই। বিশেষভাবে সাজানো তোরণ পার হয়ে সামনে তাকালে দেখবেন, দিগন্ত ছোঁওয়া দীঘির নীল জলে উঠছে মৃদু ঢেউ। দূরে দেখা যাবে দ্বীপভূমির কাঠের ঘর। নাম-না-জানা ফুলের মিষ্টি সুবাসে প্রাণভরে শ্বাস নিতে নিতে মন বলবে, ‘এলেম কোথা?’ বন্য সবুজ ঘাসের বাগিচায় দিনভর চলবে আড্ডা-ই-আড্ডা। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, এখানে অনেকেই বছরভর ব্যস্ত থাকেন। পুজোর ক-দিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চান। আবার সপরিবারে ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আনন্দ করতে চান। ম্যাডক্স স্কোয়ারের মত আড্ডার একটা জায়গা তাদের জন্য আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা এমন করা হবে, সকলেই উপভোগ করবেন। একবার এলে, এর টানে বারবার আস্তে হবে। ম্যাডক্স স্কোয়ারকে পাল্লা দিতে তৈরি আমরা। আড্ডা হবে, খাওয়া হবে না, তা তো আর হতে পারে না, তাই ইকো পার্কে পুজোর ক-দিন আড্ডা জোনের পাশেই কোয়ালিটি বজায় রেখে নানা খাবারের স্টল ও চালু হচ্ছে। এখন আলোয়, সুরে উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষা। নিউ টাউনের মানুষের এখন একটাই প্রার্থনা, পুজোর কদিন আকাশ থাকুক ঝলমলে।
Be the first to comment