দিল্লি হাইকোর্টের পর এ বার অনলাইনে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ বিক্রিতে রাশ টানতে চলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। যতদিন না পর্যন্ত কেন্দ্র আইন করে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে, ততদিন পর্যন্ত কোনও ই-ফার্মাসি চেন্নাইতে তাদের ওষুধ বেচতে পারবে না, এমনই নির্দেশ জারি করেছে আদালত। আগামী বছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলেছে আদালত।
অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ওপরেও কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি খসড়া আইন তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে ই ফার্মেসি রেজিস্টার্ড না হলে তার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি ওষুধ বিক্রি, মজুত, প্রদর্শন বা অপরকে বিক্রির জন্য অনুরোধ করতে পারবে না। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্পা সত্যনারায়ণ বলেছেন, “আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত কোনও অনলাইন সংস্থাই তাদের ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। ”
অনলাইনে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা নিয়ে তামিলনাড়ুর কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আদালতে একটি মামলা করেছিল। সেই মামলার রায়েই বিচারপতি পুষ্পা সত্যনারায়ণ এমন নির্দেশ দেন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছিল, অনুমোদন ছাড়াই গোটা দেশজুড়ে অনলাইনে নানারকম ওষুধ বিক্রি হচ্ছে যার প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে।
অবিলম্বে সিডিউল এইচ , এইচ ১ এবং সিডিউড এক্স ওষুধগুলির বিক্রি বন্ধ করা উচিত। মামলায় আরও বলা হয়েছে, ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট এবং ১৯৪৮ সালের ফার্মেসি অ্যাক্টে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি অনুমোদন করা হয়নি। ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অনেকেই দীর্ঘকালীন ওষুধ কিনে খেতে শুরু করে যার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। এমনও দেখা গেছে বিশেষ কোনও ওষুধের প্রতি আসক্তিও জন্মে গেছে মানুষজনের।
তবে, অনলাইন অনেক সংস্থাই দাবি করেছে তারা লাইসেন্স নিয়েই ওষুধ বিক্রি করে। সে ক্ষেত্রে ভুয়ো ওষুধ বাজারে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। এই প্রসঙ্গে নেটমেডের কর্ণধার ও সিইও প্রদীপ দাদহা বলেছেন, “এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আদালতের পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি।
Be the first to comment