৭ই নভেম্বরের মধ্যে সরকার গড়তে না পারলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে মহারাষ্ট্রে। শুক্রবার এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগান্তিওয়ার। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে প্রায় আট দিন পার হতে চলল। কিন্তু, সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বিজেপি-শিবসেনার জোটের জট এখনও খুলছে না। মহারাষ্ট্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি।
শিবসেনার হাত ধরেই সরকার গড়তে হবে পদ্ম শিবিরকে। কিন্তু সুযোগ বুঝে রক্তের স্বাদ পেয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে উদ্ভব ঠাকরের দল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ চেয়ে বসেছে তাঁরা। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে রফাসূত্র দিওয়ালির পর বের করা হবে বলে জানিয়েছিল বিজেপি হাইকম্যান্ড। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র বের করতে পারেনি তাঁরা। এইদিকে চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে এই মাসের ৮ তারিখে। এর মাঝেই বিজেপি নেতার এই ইঙ্গিতকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘মারাঠা জনগণ আমাদের জোটের পক্ষেই রায় দিয়েছে।’ উদ্ভব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর আসন চাওয়ার পর থেকে বিজেপি-শিবসেনার মধ্যে বেড়েছে চাপান-উতর। এর ফলে দলীয় জোটে চিড় ধরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুধীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোটের জোর ফেভিকল কিংবা অম্বুজা সিমেন্টের থেকেও শক্তিশালী।’
সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, ‘সরকার এরমধ্যেই গড়া হবে। নয়ত সময়সীমা পার হয়ে গেলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।’ তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিবসেনার আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাওয়া। বিজেপি কি সেই দাবি মেনে নিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আগেই দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের নাম ঘোষণা করেছি।’
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেবে বিজেপি-শিবসেনা দুই দলই। এমনটাই মত এই বিজেপি নেতার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজ্যের নেতারা আছি তাঁরা সবাই একসঙ্গে বসব। যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব। কারণ জোটের থেকেও বড় কথা আমাদেরকে মারাঠা জনগণ ভোট দিয়েছে। তাই মহারাষ্ট্রের মানুষদের কথা ভেবে আমাদের দ্রুত সমাধান খুঁজতে হবে।’
Be the first to comment